খেলা

গতি আরও বাড়াতে যা করছেন হাসান মাহমুদ

যুব বিশ্বকাপে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পেরেছেন হাসান মাহমুদ। এক বছর পর সে গতির পরিমাণ আরও বেড়েছে। চলতি বিপিএলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪৪.১ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পেরেছেন এ তরুণ। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে ভবিষ্যতে হয়তো নিজেকেও ছাড়িয়ে যেতে পারবেন। আর তার জন্য কঠিন পরিশ্রম করছেন ঢাকা প্লাটুনের এ পেসার।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

যুব বিশ্বকাপে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পেরেছেন হাসান মাহমুদ। এক বছর পর সে গতির পরিমাণ আরও বেড়েছে। চলতি বিপিএলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪৪.১ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পেরেছেন এ তরুণ। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে ভবিষ্যতে হয়তো নিজেকেও ছাড়িয়ে যেতে পারবেন। আর তার জন্য কঠিন পরিশ্রম করছেন ঢাকা প্লাটুনের এ পেসার।

বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটের ফসল হাসান মাহমুদ। শুরু থেকেই তার তার দুরন্ত গতির বোলিংয়ে মুগ্ধ কোচ-নির্বাচকরা। কিন্তু ইনজুরির কারণে নিজেকে প্রমাণ করার জায়গাটা সে অর্থে মিলছিল না। বেশ কয়েকবারই ইনজুরিতে পড়ে লম্বা সময় মাঠের বাইরে ছিলেন। গত যুব বিশ্বকাপে ইনজুরি কাটিয়ে ফিরে ভালোই করেছিলেন। সে ধারাবাহিকতায় ঘরোয়া ক্রিকেটেও ভালো করেছেন। এবার আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্ট বিপিএলে গতি ঝড় তুলে সবার আলোচনার কেন্দ্রতে চলে আসেন এ তরুণ।

আর গতিকে আরও বাড়ানোর চেষ্টায় নিয়মিত অনুশীলন করছেন হাসান। রোববার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলনেও কোচ-অধিনায়কদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করতে দেখা গেছে তাকে। তার ফাঁকেই হাসান বললেন, 'পেস বোলারদের গতি নিয়ে আসলে, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করাটাই মূল ব্যাপার। আর সঠিক অনুশীলন, সঠিক খাবার, সঠিক বিশ্রাম, পেস বোলারদের গতি বাড়ায় আসলে। ফলে অনুশীলনটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, পাশাপাশি শৃঙ্খলার মধ্যে থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণ।'

তবে হাসানই নয়, তার মতো মেহেদী হাসান রানা, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধও নজর কেড়েছেন। তাই নিজেদের মধ্যে দারুণ একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। তবে এ প্রতিযোগিতাটা উপভোগ করছেন এ তরুণ, 'নিজেদের মধ্যে এটা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কয়জন দলের মধ্যে থাকতে পারবে। আমাদের স্কোয়াডেই অনেকে খেলছে নতুন। আমরা যারা এইচপিতে আছি, ওদের মধ্যেও অনেকেই বিপিএলে খেলছে। ফলে আমাদের মধ্যে একটা চ্যালেঞ্জ কাজ করছে, সামনে কে এগিয়ে যেতে পারে, কে কার আগে যেতে পারে।'

তবে শুধু গতির উপরই নির্ভরশীল থাকতে চান না হাসান। পাশাপাশি বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টায় আছেন এ তরুণ, 'টি-টোয়েন্টিতে (বোলিংয়ে) বৈচিত্র্য আনাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি সব সময় জোরে বল করে তো আর বাঁচতে পারবেন না। ব্যাটসম্যান সব বলেই শট মারতে পারবে সহজেই, যদি জোরে বল করেন। এজন্য বৈচিত্র্য আনাটা খুব দরকার।'

আগামীকাল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে মাঠে নামছে হাসানের দল ঢাকা। এর আগে ঢাকা এ দলের বিপক্ষে প্রথম মোকাবেলায় জয় পেয়েছিলেন তারা। এবারও সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারবেন বলে বিশ্বাস করেন হাসান।

Comments

The Daily Star  | English

3 buses set on fire within 10 minutes

The incidents were reported in the capital's Gabtoli, Agargaon, and Sayedabad

7h ago