মাহফুজ আনাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দ্য ডেইলি স্টার
দেশে এখন কিছু মৌলিক রূপান্তর ঘটতে যাচ্ছে। আমরা একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন বা পুরোনোটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কার নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু অর্থনীতির ক্ষেত্রেও সে ধরনের পরিবর্তন নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা চোখে পড়ছে না।
সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং যে বিষয়ে তিনি আমাদের সহায়তা চেয়েছেন, তা হলো—জাতিকে একতাবদ্ধ করা। তিনি অনুভব করেছেন এবং আমরাও তার সঙ্গে একমত যে, আমরা এখন বিপজ্জনকভাবে বিভাজিত এবং শিগগির এই পরিস্থিতির পরিবর্তন...
বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম যেন আর কখনোই ফিরে না আসে।
আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে আমরা কীভাবে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করব।
নিরঙ্কুশ ক্ষমতার দাপটে অন্ধ হয়ে নতুন বাস্তবতাকে মেনে নিতে চাচ্ছে না সরকার।
ক্ষমতাসীনরা যা বলে এবং জনগণ যা বিশ্বাস করে, তা এক নাও হতে পারে।
কেবলমাত্র অহমিকা ও নিশ্চিত দায়মুক্তি ছাড়া আর কোনোভাবেই এই হত্যাকাণ্ডকে ন্যায্যতা দেওয়া সম্ভব না।
অন্য অনেক কিছুর পাশাপাশি বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দুটি সংবাদপত্রের গোড়াপত্তন ও অব্যাহত সাফল্যের ইতিহাসে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
একটি রাজনৈতিক দল জনগণের দৃষ্টিতে কেমন, তা জানা বা বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হচ্ছে নির্বাচন। কিন্তু, বাংলাদেশে আর গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই হয় না।
ভারতের নির্বাচন আরও একবার প্রমাণ করেছে যে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকলে ‘জনরায়’ সবসময়ই গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। অপরদিকে, মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দিলে তা গণতন্ত্রের ভিতকে ধ্বংস করে দেয়।
আমি নিজে এবং দ্য ডেইলি স্টার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বিপক্ষে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যেকোনো ভাবেই যদি কেউ অন্য কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে তাহলে আমরা তার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছিল, এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের শুধু শিক্ষা দেওয়াই নয়, বরং তাদের বিরুদ্ধে নির্মম আচরণ করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে আর কখনো ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের চিন্তা না করে।
একটি মুক্ত গণমাধ্যম যেভাবে বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে পারে, সেটা কোনো সরকারি সংস্থা বা দলীয় নেটওয়ার্ক দিতে পারে না। কেউ-ই ক্ষমতাসীনদের কাছে খারাপ সংবাদগুলো পৌঁছে দিতে চায় না।...
প্রথম যে প্রশ্নটি আমাদের সামনে আছে তা হলো, কেন আমরা ভারতের চেয়ে ১১ গুণ বেশি দামে ইভিএম কিনেছি? বলা হয়েছিল, আমাদের ইভিএমগুলোর কারিগরি সক্ষমতা তুলনামূলকভাবে বেশি এবং এগুলোতে এমন কিছু ফিচার আছে যা...
বুয়েটে যা চলছিল, সেটাকে কি ছাত্ররাজনীতি বলা যায়? এটা কি কোনো দিক থেকে আমাদের ছাত্ররাজনীতির গৌরবান্বিত অধ্যায়ের ধারক বা বাহক, যা নিয়ে আমরা গর্ব করি? এ সময়ের ছাত্রনেতাদের কি আমাদের অতীতের...
যে অভাবটি তীব্রভাবে অনুভব করি তা হলো, আমাদের এমন কিছু বই প্রয়োজন যেগুলোতে নয় মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ধরনের জটিলতা ও সমস্যা বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
এবার ভাবুন, ঢাকার উত্তরে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে হত্যার হুমকি দিয়ে বলা হলো দক্ষিণে চলে যেতে। এরপর সেখানে রাতদিন নির্বিচারে বোমা হামলা চালানো হলো।