বিপিএলের দুই হাজারি ক্লাবে প্রথম তামিম

সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম ইকবাল। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ সংস্করণে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ানও তিনি। শুধু টি-টোয়েন্টি নয়, টেস্ট আর ওয়ানডে ক্রিকেটেও দেশের সেরা ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের হয়ে রেকর্ড গড়া আর নতুন নতুন মাইলফলকে পৌঁছানো যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে তার জন্য। এদিন আরও একটি নতুন মাইলফলকে পা রাখলেন এ বাঁহাতি ওপেনার। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিযোগিতাটিতে দুই হাজার রান পূর্ণ করলেন এ তারকা।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম ইকবাল। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ সংস্করণে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ানও তিনি। শুধু টি-টোয়েন্টি নয়, টেস্ট আর ওয়ানডে ক্রিকেটেও দেশের সেরা ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের হয়ে রেকর্ড গড়া আর নতুন নতুন মাইলফলকে পৌঁছানো যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে তার জন্য। এদিন আরও একটি নতুন মাইলফলকে পা রাখলেন এ বাঁহাতি ওপেনার। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিযোগিতাটিতে দুই হাজার রান পূর্ণ করলেন এ তারকা।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে ফিরতি পর্বের ম্যাচে নতুন এ মাইলফলকে পা রাখেন তামিম। ৩১ রান দূরে থেকে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। সিলেটের দেওয়া ১৭৫ রানের লক্ষ্যে দেখেশুনেই ব্যাট করেছেন তিনি। অপরাজিত থেকে ৬০ রানের ইনিংস খেলার পথে বিপিএলের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে দুই হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছান এ ওপেনার। এ ম্যাচ পর্যন্ত তার মোট রান ২ হাজার ২৯। ৬৩ ম্যাচের ৬২ ইনিংসে ব্যাট করে ৩৬.৮৯ গড়ে এ রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ১২৩.১১।

দুই হাজারি ক্লাবের ঢোকার অপেক্ষায় আছেন মুশফিকুর রহিমও। ১ হাজার ৯৩৭ রান করেছেন তিনি। দারুণ ছন্দেও আছেন। এবারের আসরের শুরুতে ভালো খেলায় মনে হচ্ছিল, তিনি তামিমের আগে পৌঁছাবেন মাইলফলকে। তবে শেষ দুই ম্যাচে সে অর্থে রান করতে না পাড়ায় তামিম-ই দুই হাজারি ক্লাবে প্রথমে নাম লেখান। অবশ্য এক হাজারি ক্লাবে সবার আগে ঢুকেছিলেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। তৃতীয় স্থানে থাকা মাহমুদউল্লাহ অবশ্য এখনও বেশ পিছিয়ে আছেন। বিপিএলে তার মোট রান ১ হাজার ৬৯৫।

এবারের বিপিএল শুরু করার আগে ১ হাজার ৮২৫ রান ছিল তামিমের। আসরের শুরুটাও প্রত্যাশামতো হয়নি। রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে মোটে করতে পেরেছিলেন ৫ রান। পরের ম্যাচেই অবশ্য ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দেন তিনি। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে খেলেন ৭৪ রানের ইনিংস। তাতেই যেন আত্মবিশ্বাস ফিরে পান। এরপর সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে ৩১ ও কুমিল্লার বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচে করেন ৩৪ রান। আর এদিন সিলেটের বিপক্ষে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তামিম।

বিপিএলের আগে সময়টা অবশ্য ভালো যাচ্ছিল না তামিমের। বিশ্বকাপে প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে পারেননি। এরপর শ্রীলঙ্কা সফরে তো আরও বাজে অবস্থা ছিল। ফলে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে কিছু দিনের বিরতি নেন তামিম। পরে ভারত সফর দিয়ে ফেরার কথা থাকলেও ফিরতে পারেননি দ্বিতীয় সন্তানের বাবা হওয়ায়, স্ত্রীকে সময় দিতে গিয়ে। তাই ছন্দে ফেরার জন্য বিপিএলকেই লক্ষ্য বানিয়েছিলেন তামিম। এখন পর্যন্ত প্রত্যাশামতোই এগোচ্ছে ৩০ বছর বয়সী তারকার সব পরিকল্পনা।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago