বিবর্ণ মোস্তাফিজ তবুও ওয়ানডের চতুর্থ সেরা উইকেটশিকারি
মোস্তাফিজুর রহমান ছন্দে নেই। নির্বিষ তার বোলিং। নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন তিনি। বছর জুড়ে আলোচিত হয়েছে এসব বিষয়ই। তারপরও ওয়ানডের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলারদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে থেকে ২০১৯ সাল শেষ করেছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার।
শেষ হতে যাওয়া বছরে তিন সংস্করণ মিলিয়ে বাংলাদেশ মোট ৩০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। ওয়ানডে ১৮টি, টি-টোয়েন্টি সাতটি ও টেস্ট পাঁচটি। কিন্তু টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির সেরা ব্যাটসম্যান ও বোলারদের তালিকার শীর্ষ দশে নেই কোনো টাইগার ক্রিকেটার। ওয়ানডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকার সেরা দশেও নেই কেউ। তবে বিস্ময়কর হলেও বিবর্ণ মোস্তাফিজই বছর শেষে নিজেকে রাখতে পেরেছেন সেরাদের কাতারে। ওয়ানডেতে এ বছর চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনি।
২০১৯ সালে ১৬ ম্যাচে মোস্তাফিজের শিকার ৩৪ উইকেট। গড় ২৮.১৪। তবে এই সংস্করণের সেরা দশ বোলারের মধ্যে তার ইকোনমিই কেবল ছয়ের বেশি (৬.৭৭)। মোস্তাফিজ পাঁচ উইকেট নিয়েছেন দুবার, দুবার-ই বিশ্বকাপের মঞ্চে। গেল ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে আট ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে তিনি ছিলেন যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। ২১ ম্যাচে ৪২ উইকেট নিয়ে বছরের সেরা ওয়ানডে বোলার ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামি।
এ বছর টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি নয়টি করে উইকেট নিয়েছেন দুজন। পেসার আবু জায়েদ রাহি ও স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তারা যৌথভাবে আছেন সম্মিলিত তালিকার ৪১ নম্বরে। টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি উইকেট দখল করেছেন পেসার শফিউল ইসলাম। তিনি পাঁচ ম্যাচে পেয়েছেন আট উইকেট।
টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আছেন পুরো তালিকার ৩৩তম স্থানে। তিনি পাঁচ ম্যাচে ৩৬.৮৮ গড়ে করেছেন ৩৩২ রান। দশ টেস্টে ১ হাজার ২২ রান নিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়ার তরুণ তারকা মারনাস লাবুশেন। এ বছর কেবল তিনিই সাদা পোশাকে হাজারের বেশি রান করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।
১৮ ওয়ানডেতে ৭৫৪ রান নিয়ে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তিনি আছেন সম্মিলিত তালিকার ১৬ নম্বরে। ১১ ম্যাচে ৭৪৬ রান নিয়ে ১৮তম স্থানে আছেন আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পাওয়া সাকিব আল হাসান। আর সাত ম্যাচে ১৭৯ রান নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে সেরা মাহমুদউল্লাহ।
Comments