নিজের জন্য খেলেন না ইমরুল

Imrul Kayes
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এবার বিপিএলে শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে ইমরুল কায়েস। শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজ নিয়ে নামছেন, দলের রানে তার অবদান থাকছে বড়। ঢাকা পর্ব শেষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকাতেও উঠে গিয়েছিলেন এক নম্বরে। তবে তাকে ছাপিয়ে ডেভিড মালান-রাইলি রুশোরা এখন এগিয়ে। চট্টগ্রাম পর্ব শেষে এক থেকে ইমরুল নেমে গেছেন পাঁচে। তিনি নিজে অবশ্য এসব নিয়ে চিন্তিত না। তার একটাই কথা, নিজের কথা না ভেবে খেলবেন কেবল দলের জন্য।

বিপিএলে এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচ খেলে দুই ফিফটিতে ইমরুলের রান ২৩৫। ৩৯.১৬ গড়ের সঙ্গে ১৪১.৫৬ স্ট্রাইক রেট দিচ্ছে এই বাঁহাতির ইতিবাচক অ্যাপ্রোচের ছবি।

প্রথম ম্যাচে ৬১ রান করার পর ইমরুল পরের ম্যাচে ফেরেন ১২ রানে। এর পরের ম্যাচে অপরাজিত ৪৪ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। পরের ম্যাচে আবার আউট হয়ে যান ৬ রান করে। তার পরের দুই ম্যাচে ইমরুলের ব্যাট থেকে এসেছে ৪০ ও ৬২ রানের আরও দুটি ইনিংস। সব শেষ ম্যাচে তিনি ফেরেন ১০ রানে। অর্থাৎ তিনটি ম্যাচে বলার মতো রান আসেনি তার ব্যাটে থেকে।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের এই ব্যাটসম্যান বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) জানালেন, নিজের কথা ভাবলে ওসব ম্যাচেও রান পেতে পারতেন তিনি, ‘দেখেন, আমি কত নম্বরে (রান করায়) আছি এটা নিয়ে চিন্তা করছি না। করলে হয়তোবা যে ম্যাচগুলোতে রান করিনি, ওই ম্যাচগুলোতে নিজের খেলা খেলতে পারতাম। ৫০টা বল খেলে নিজের জন্য ৬০-৭০ রান করতে পারতাম। যেরকম পরিস্থিতিতে যেরকম দরকার, সেভাবে আমি খেলব বলে চিন্তা করেছি। আমার রান কত হয়েছে সেটা বিষয় না।’

বিপিএলে রানের মধ্যে আছেন, কিন্তু ভারত সফরে ছিলেন ব্যর্থতার অপর নাম। ইমরুল মনে করছেন, খারাপ-ভালো যাই হোক, আগের কোনো কিছু নিয়েই মাথায় ভাবনার জট রাখতে রাজি না তিনি, ‘ভারত সিরিজের সময় খারাপ খেলেছি মানতে হবে। কেবল আমি না, আমরা কেউই ভালো খেলিনি। ভারতের অংশটা শেষ, এটা নিয়ে আর ভাবছি না। ভারতের অংশ ওখানেই ডিলিট করে দিয়েছি। আবার নতুন করে শুরু হয়েছে সব। আসলে কখন খারাপ খেলেছি, কখন ভালো খেলেছি এটা চিন্তা করলে হয় না। পরের ম্যাচ নিয়েই ভাবতে হয়।’

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

3h ago