ইমরুলের ব্যাটে প্লে অফে এক পা চট্টগ্রামের

মন্থর উইকেটে আঁটসাঁট বোলিং করে ঢাকা প্লাটুনকে অল্প রানে বেঁধে রাখল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। পরে রান তাড়ায় নেমে পরিস্থিতি বুঝে ভরসা যোগানো ব্যাট করলেন ইমরুল কায়েস। টুর্নামেন্টে তৃতীয় ফিফটি তুলে দলকে পাইয়ে দিলেন অনায়াস জয়।
Imrul Kayes
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মন্থর উইকেটে আঁটসাঁট বোলিং করে ঢাকা প্লাটুনকে অল্প রানে বেঁধে রাখল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। পরে রান তাড়ায় নেমে পরিস্থিতি বুঝে ভরসা যোগানো ব্যাট করলেন ইমরুল কায়েস। টুর্নামেন্টে তৃতীয় ফিফটি তুলে দলকে পাইয়ে দিলেন অনায়াস জয়।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২০ ওভার খেলেও ৯ উইকেটে ১২৪ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা। ৮ বল হাতে রেখে ওই রান টপকে ৬ উইকেটে জিতেছে চ্যালেঞ্জার্স। আট ম্যাচ খেলে চট্টগ্রামের এটি ষষ্ঠ জয়। ১২ পয়েন্ট নিয়ে বিপিএলের টেবিলের মাথায় থাকা দলটি অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেছে প্লে অফে খেলাও। দলকে জিতিয়ে ৫৩ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন ইমরুল।

১২৫ রানের সহজ লক্ষ্যে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চট্টগ্রামেরও। পুরো টুর্নামেন্টে নিজের ছায়া হয়ে থাকা মাশরাফি মর্তুজা এদিন পান চেনা ছন্দ। তার বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লেন্ডল সিমন্স। টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা জুনায়েদ সিদ্দিকীও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। অফ স্পিনার মেহেদী হাসানকে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন কাভারে।

কিন্তু চ্যাডউইক ওয়ালটন আর ইমরুল কায়েস বুঝে গিয়েছিলেন উইকেটের ভাষা। লক্ষ্যটা নাগালে দেখে দুজনেই তাড়াহুড়োয় গেলেন না। ওয়ালটন অবশ্য বাজে বল পেলেই মেরে সীমানা ছাড়া করেছেন। তৃতীয় উইকেটে গড়ে উঠল দুজনের ৪১ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। ১৬ বলে ২৫ করে ওয়াহাব রিয়াজের বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ওয়ালটন।

এরপর রায়ান বার্ল থিতু হতে না পারলেও ইমরুল ছিলেন অবিচল। ৫ চার আর বিশাল ২ ছক্কায় টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় ফিফটি তুলে মাঠ ছাড়েন দারুণ ছন্দে থাকা এই বাঁহাতি। তিনি উঠে এসেছেন বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে।

এর আগে কিছুটা মন্থর উইকেটে টস জিতে ঢাকাকে ব্যাট করতে দিয়েই চেপে ধরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তামিম ইকবাল আর এনামুল হক দ্রুত রান তুলতে ধুঁকছিলেন। সেই চাপেই রান আউট এনামুল। শম্ভুক গতির ব্যাটিংয়ে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন তামিম। সেই চাপ সরাতে নাসুম আহমেদের বলে বেরিয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়ে ফেরেন ২৭ বলে ২১ করে। 

আগের দুই ম্যাচের হিরো মেহেদী হাসান এদিন টিকলেন কেবল দুই বল। জাকের আলি, শহীদ আফ্রিদি, শাদাব খানরা এলেন আর গেলেন। থিসারা পেরারাও নেমেই কুপোকাত। ৬৮ রানেই তাই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা প্লাটুন।

বিপর্যস্ত দলকে ভরসা যুগিয়েছে মুমিনুল হকের ব্যাটিং। শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৩২ করে রান আউটে শেষ হয় তার ইনিংস। শেষ দিকে দলের রান কিছুটা ভদ্রস্থ হয়েছে মাশরাফি আর ওয়াহাবের ব্যাটে। ওয়াহাব ১৫ বলে ২৩ আর মাশরাফি অপরাজিত থাকেন ১২ বলে বলে ১৭ রানে। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ঢাকা প্লাটুন: ২০ ওভারে ১২৪/৯ (তামিম ২১, এনামুল ১৪, মেহেদী ০, মুমিনুল ৩২, জাকের ৩, আফ্রিদি ০, শাদাব ০, থিসারা ৬, ওয়াহাব ২৩, মাশরাফি ১৭*; রুবেল ০/২৭, নাসুম ১/২১, রানা ০/২৬, প্লাঙ্কেট ১/৩০, মুক্তার ২/১৮, বার্ল ২/১)

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৮.৪ ওভারে ১২৫/৪ (সিমন্স ১৫, জুনায়েদ ৮, ইমরুল ৫৪*, ওয়ালটন ২৫, বার্ল ১৩, নুরুল ৫*; মাশরাফি ১/১৪, মেহেদী ১/২৩, পেরেরা ০/১৮, শাদাব ০/২০, ওয়াহাব ২/১৮, হাসান ০/১৮, আফ্রিদি ০/১১)

ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৬ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ইমরুল কায়েস।

Comments

The Daily Star  | English
government changed office hours

Govt office hours 9am-3pm from Sunday to Tuesday

The government offices will be open from 9:00am to 3:00pm for the next three days -- from Sunday to Tuesday -- this week, Public Administration Minister Farhad Hossain said today

30m ago