নোয়াখালীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২৩ মামলার আসামির মৃত্যু

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নের ছোটধলী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের এক সদস্য মারা গেছেন।
gun_5.jpg
ছবি: স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নের ছোটধলী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের এক সদস্য মারা গেছেন।

নিহতের নাম- শাহাদাত হোসেন স্বপন (৩৯)। তিনি কোম্পানীগঞ্জের রামপুর ইউনিয়নের বেলায়েত হোসেনের ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা, দস্যুতা, চাঁদাবাজিসহ ২৩টি মামলা রয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, পুলিশের তালিকাভুক্ত মোস্ট ওয়ান্টেড আসামি ও আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য শাহাদাত হোসেন স্বপনকে দীর্ঘদিন ধরে খোঁজা হচ্ছিলো। গতকাল সন্ধ্যায় তাকে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তিনি পুলিশকে জানান যে, তার দলের সদস্যরা ডাকাতি করার জন্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ছোটধলী নদীর পাড় এলাকায় অবস্থান করছে।

পরে থানা ও ডিবি পুলিশ তাকে নিয়ে সেখানে গেলে, তার সঙ্গীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে, পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এসময় ডাকাত সদস্য স্বপন গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে পুলিশের ওসি (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমানসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পাইপগান, নয় রাউন্ড গুলিসহ বেশ কিছু দেশীয় ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।

Comments