ভালো দামের আশায় আগাম আলু তুলছেন কৃষকরা
ভালো দাম পাওয়ার আশায় শীত উপেক্ষা করেই মুন্সীগঞ্জে আগাম আলু তুলছেন কৃষকরা। সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দের চর খাসকান্দি ও চর পানিয়াসহ আরও কয়েকটি গ্রামের আলুচাষিরা এখন পার করছেন ব্যস্ত সময়।
কৃষক নূর ইসলাম বলেন, এই আলুগুলো আমরা কার্তিক মাসের শুরুতে রোপণ করেছি শুধুমাত্র এই সময়ে বাজারে তোলার জন্য। কারণ এখন নতুন আলুর যে মূল্য পাওয়া যাবে সেটা আর পরে থাকবে না। আলুগুলো আর সপ্তাহখানেক পর উত্তোলন করলে আরও পরিপক্ব হতো জানিয়ে তিনি বলেন, বাজারের দিকে তাকিয়ে একটু আগেই আলু উত্তোলন শুরু করলাম। গত সপ্তাহে শ্যামবাজার আড়তে নতুন আলুর পাইকারি মূল্য ছিল কেজিপ্রতি ২২ টাকা। এখন নতুন আলুর দাম আবার বেড়ে ৩০ টাকায় ওঠায় আলু তুলছি।
মাঠে গিয়ে দেখা যায়, প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে সকাল সকাল আলু তুলছেন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কৃষি শ্রমিকরা। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর ফলন ভালো হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী কৃষকরা।
সিরাজদিখান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ২০০ হেক্টর।
উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের কৃষকরা জেলার অন্যান্য কৃষকের চেয়ে অনেক আগেই আলু রোপণ করেন। ভালো দাম পাওয়ার জন্য আবার আগেই উত্তোলন করে বাজারজাত করেন। তবে উপজেলার অন্য ১৪টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ কৃষকই এখন আলু পরিচর্যায় ব্যস্ত। আলু উত্তোলনের পূর্ণ মৌসুম এখনও শুরু হয়নি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলনায় এ বছর আলুর গাছ ভালো হয়েছে এবং রয়েছে। এবার আলু রোপণ করা হয়েছে ৯ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। কিছু রোগ বালাই হবেই। তবে সেগুলোর সমাধানে আমরা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কাজ করে যাচ্ছি।
Comments