ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চান না ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমি ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চাই না। ইরাকে মার্কিন দূতাবাসে হামলার ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে হুমকি দেওয়ার পরেই এখন উল্টো সুরে কথা বলেছেন তিনি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ফ্লোরিডায় নিজের মার-এ-লাগো ক্লাবে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেন, “আমি কি চাই? না। আমি শান্তি চাই। আমি শান্তি পছন্দ করি। ইরানেরও অন্য যে কারো চেয়ে শান্তিতে থাকতে চাওয়া উচিত। তাই ইরানের সঙ্গে আমি কেনো যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখছি না।”
যদিও গতকাল ইরানকে বড় ধরণের হুমকি দিয়েই ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেসময় এক টুইটবার্তায় ট্রাম্প বলেন, “আমাদের যেকোনো অবস্থানে প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির জন্য ইরান সম্পূর্ণ দায়ী থাকবে। তাদের অনেক বড় মূল্য চুকাতে হবে! এটা সতর্কবার্তা নয়, এটা হুমকি। শুভ নববর্ষ!”
এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় মিলিশিয়া সদস্যদের মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদনে প্রতিবেশী ইরাকে সহিংসা উস্কে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করা হয়েছে।
সেই প্রতিবেদনে খামেনির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, “ইরানের সরকার ও জাতি এবং আমি (খামেনি) এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।”
গত ২৯ ডিসেম্বর ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত এবং ৫৫ জন আহত হন। নিহত ব্যক্তিরা মিলিশিয়া গোষ্ঠী কাতাইব হিজবুল্লাহর (হিজবুল্লাহ ব্রিগেড) সদস্য। কাতাইব হিজবুল্লাহ ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে ও সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে অবস্থানরত ইরান সমর্থিত বাহিনী।
এ ঘটনার জেরে গতকাল বিক্ষোভকারীরা ইরাকে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের বাইরের দিকের দেয়াল ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে দূতাবাসের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। ইরাকে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও অন্য কর্মীদের দূতাবাস থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
পরে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপের ঘোষণা দেন, সেখানে দ্রুত সাড়ে সাতশ সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, “বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে যেখানেই দেখা যাবে, সেখানেই যুক্তরাষ্ট্র তার জনগণ ও স্বার্থ রক্ষা করবে।”
Comments