আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম: সৌম্য
১৪১ রান তাড়ায় নামা সিলেট থান্ডার ৮ ওভার না হতেই হারিয়ে ফেলল ৫ উইকেট, রান উঠল কেবল ৩৩। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের সামনে বড় জয়ের মঞ্চই তখন তৈরি। ওই ম্যাচ কি-না তারা জিতল সুপার ওভারের নাটকীয়তায়! ম্যাচ শেষে কুমিল্লার অধিনায়ক সৌম্য সরকার বললেন, মাঝের ওভারে বোলিং-ফিল্ডিংয়ের ঘাটতির সঙ্গে আতঙ্কিত হয়ে পড়াতে তৈরি হয় অমন পরিস্থিতি।
বৃহস্পিতবার (২ জানুয়ারি) বারবার রঙ বদলানো রোমাঞ্চে ঠাসা ম্যাচে সুপার ওভারে জয় পায় কুমিল্লা। ৩৩ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর সিলেটকে জয়ের সম্ভাবনার দিকে নিয়ে যান দারুণ ব্যাটিংয়ে ঝড়ো ফিফটি করা সোহাগ গাজী। তার ৩১ বলে ৪ ছক্কায় ৫২ রানের ইনিংস এক পর্যায়ে সিলেটকে নিয়ে আসে লড়াইয়ে। ১৭তম ওভারে বল করতে এসে তিন উইকেট নিয়ে ফের পাল্লা কুমিল্লার দিকে নিয়ে যান মুজিব-উর-রহমান।
কিন্তু মনির হোসেন আর নাভিন-উল-হকের দৃঢ়তায় আবারও মোড় ঘুরে খেলায় আসে সিলেট। আল-আমিন হোসেনের করা শেষ ওভার থেকে ১৫ রান দরকার ছিল তাদের। ঘটনাবহুল সে ওভারে ১৪ রান নিয়ে ম্যাচ সুপার ওভারে নিয়ে যায় তারা।
সহজে জেতার অবস্থানে থেকেও ম্যাচে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পেছনে ডেভিড মালানের অনুপস্থিতিতে প্রথমবার অধিনায়কত্ব পাওয়া সৌম্য খুঁজে পেয়েছেন তিন কারণ, ‘বোলিং ঘাটতি তো ছিলই, আমার মনে হয়, বেশ কিছু ফিল্ডিং মিস হয়েছে, চার হয়েছে, ক্যাচের মতো ছিল। দুই-তিনটা ক্যাচ ড্রপ হয়েছে। সবমিলিয়ে শেষের দিকে আতঙ্কিত হয়ে গিয়েছিলাম। গাজী যখন ব্যাট করছিল, ওকে নিয়ে একটু বেশি চিন্তা করছিলাম।’
নাটকের বাকি ছিল সুপার ওভারেও। মুজিবের করা সুপার ওভারে সিলেট মাত্র ৭ রান নিলে আবার সহজেই জেতার ক্ষেত্র ছিল কুমিল্লার। ডেভিড ভিজে প্রথম ৩ বলে ৩ রান আনার পর আউট হয়ে যান সৌম্য। এরপর ভিজে মারেন চার। ফলে শেষ ২ বল থেকে দরকার দাঁড়ায় ১ রান। শেরফান রাদারফোর্ডের দায়সারা ফিল্ডিংয়ে কোনোরকমে রান আউট থেকে বেঁচে থই পান সৌম্যরা।
তবে সুপার ওভারে কেবল ৮ রানের লক্ষ্য থাকায় দুশ্চিন্তা ছিল না তাদের মনে, ‘না, হারার চিন্তা করিনি, যেহেতু ওরা দুজনও (ভিজে, উপুল থারাঙ্গা) ছিল। শেষ পর্যন্ত একটা ভয় ছিল যে আউট হয়ে গেলে তো শেষ। শেষ বল পর্যন্ত খেললে জিতব, এমন ভাবনা ছিল।’
Comments