খুলনাকে হারিয়ে শীর্ষে উঠল ঢাকা
বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। মাঝে আফগান তারকা নজিবুল্লাহ জাদরান যা একটু সঙ্গ দিলেন। এছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিতে না পারায় বৃথা যায় মুশফিকের লড়াই। তরুণ হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ঢাকা প্লাটুন। খুলনা টাইগার্সকে ১২ রানে হারিয়ে শীর্ষে উঠে এলো মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো করতে পারেনি খুলনা। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ফলে দলীয় ৪৪ রানে টপ অর্ডারের চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দলটি। এরপর আফগানিস্তান রিক্রুট নজিবুল্লাহ জাদরানকে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ৫৬ রানের জুটি গড়ে দলের ইনিংস মেরামত করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। তবে রানের গতি সে অর্থে বাড়াতে পারেননি তারা। ব্যক্তিগত ৩১ রানে নজিবুল্লাহর বিদায়ে এ জুটি ভাঙলে ফের চাপে পড়ে যায় দলটি।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান মুশফিক। মাঠের চারপাশ দিয়ে দারুণ সব শট খেলেন। মাত্র ৩৩ বলে করেন ৬৪ রান। ৬টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৪টি ছক্কা। কিন্তু তার লড়াই দলের জন্য যথেষ্ট হয়নি। হারের ব্যবধানই কেবল কমেছে। হাসান মাহমুদের বলে বিদায় নিলে কার্যত তখনই হেরে যায় দলটি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬০ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। ঢাকার পক্ষে ৪ ওভার বল করে ৩২ রান খরচ করে ৪টি উইকেট নিয়ে দিনের সেরা বোলার হাসান মাহমুদ।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল ঢাকা। ৪৫ রানের ওপেনিং জুটি উপহার দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। তবে এ জুটি ভাঙতেই দ্রুত তিনটি উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে দলটি। এরপর চতুর্থ উইকেটে মুমিনুল হকের সঙ্গে দলের হাল ধরেন আরিফুল হক। ৫৬ রানের জুটি উপহার দেন এ দুই ব্যাটসম্যান। তাতে চাপ সামলাতে পারলেও রানের গতি ততোটা সচল রাখতে পারেননি তারা। তবে শেষ দিকে আসিফ আলির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে লড়াকু সংগ্রহই পায় দলটি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭২ রান করে ঢাকা।
মাত্র ১৩ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন আসিফ। ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। দলের সর্বোচ্চ ইনিংসও এটা। এছাড়া ৩৬ বলে ৩৮ রান করেন মুমিনুল। আরিফুলের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান। খুলনার পক্ষে ২৭ রানের খরচায় ২টি উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির।
এ জয়ে নয় ম্যাচে ৬টি জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠল ঢাকা। তবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও রাজশাহী রয়্যালসের পয়েন্টও ১২। রানরেটে শীর্ষে আছে ঢাকা। আট ম্যাচে ৫টি জয়ে খুলনার সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা প্লাটুন: ২০ ওভারে ১৭২/৪ (তামিম ২৫, বিজয় ১৫, মুমিনুল ৩৮, মেহেদী ১, আরিফুল ৩৭*, আসিফ ৩৯*; তানভির ০/৮, ফ্রাইলিঙ্ক ০/১৮, মেহেদী ০/১৫, আমির ২/২৭, শফিউল ১/৪৪, শহিদুল ০/৪১, আমিনুল ১/১৫)।
খুলনা টাইগার্স: ২০ ওভারে ১৬০/৮ (মেহেদী ১৫, আমিনুল ৪, রুশো ১৮, শামসুর ৩, মুশফিক ৬৪, নজিবুল্লাহ ৩১, ফ্রাইলিঙ্ক ৬, শহিদুল ৬*, আমির ৫; মাশরাফি ১/২৬, ফাহিম ০/৩১, হাসান ৪/৩২, মেহেদী ০/৭, শাদাব ১/২৫, থিসারা ১/৩৬)।
ফলাফল: ঢাকা প্লাটুন ১২ রানে জয়ী।
Comments