রানা-রুবেলের বোলিং তোপে প্লে অফে চট্টগ্রাম

বোলিং সহায়ক উইকেট পেয়ে খুলনা টাইগার্সের ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরলেন রুবেল হোসেন-মেহেদী হাসান রানারা। গুটিয়ে দিলেন অল্প রানের মধ্যে। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে জয়ের ভিত গড়ে দিলেন লেন্ডল সিমন্স ও জুনায়েদ সিদ্দিকি। বাকি পথটা পাড়ি দিলেন ইমরুল কায়েস। ফলে ৬ উইকেটের দারুণ জয়ে প্রথম দল হিসেবে বিপিএলের প্লে অফে উঠল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
mehedi hasan rana
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বোলিং সহায়ক উইকেট পেয়ে খুলনা টাইগার্সের ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরলেন রুবেল হোসেন-মেহেদী হাসান রানারা। গুটিয়ে দিলেন অল্প রানের মধ্যে। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে জয়ের ভিত গড়ে দিলেন লেন্ডল সিমন্স ও জুনায়েদ সিদ্দিকি। বাকি পথটা পাড়ি দিলেন ইমরুল কায়েস। ফলে ৬ উইকেটের দারুণ জয়ে প্রথম দল হিসেবে বিপিএলের প্লে অফে উঠল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) সিলেট পর্বের শেষ দিনের প্রথম ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১২১ রানে অলআউট হয় মুশফিকুর রহিমের খুলনা। জবাব দিতে নেমে ১১ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান তুলে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ইমরুলের চট্টগ্রাম।

দশম ম্যাচে এটি চট্টগ্রামের সপ্তম জয়। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ঢাকা প্লাটুনকে হটিয়ে তারা উঠে গেছে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের পয়েন্ট তালিকার এক নম্বর স্থানে। অন্যদিকে, নবম ম্যাচে খুলনার এটি চতুর্থ হার। ১০ পয়েন্ট নিয়ে আগের চতুর্থ স্থানেই রয়েছে তারা।

এদিন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট দারুণভাবে সহায়তা করেছে বোলারদের। বাউন্স ছিল অসমান। এই সুবিধা দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে ১৪ রানের মধ্যে খুলনার ৩ উইকেট তুলে নেন রানা-রুবেল। নিজের প্রথম বলে বাঁহাতি রানা ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজকে। একই ওভারে শিকার করেন হাশিম আমলার গুরুত্বপূর্ণ উইকেটও। শামসুর ৩ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন রুবেলের ডেলিভারিতে।

মুশফিকের সঙ্গে ৪৯ ও রবি ফ্রাইলিঙ্কের সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি দেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন রাইলি রুশো। তবে তিনি কেসরিক উইলিয়ামসের বলে বোল্ড হওয়ার পর আর এগোয়নি খুলনার ইনিংস। শেষ ৬ উইকেট তারা হারায় মাত্র ১৬ রানের মধ্যে।

রুশো ৪০ বলে ৪৮ রান করেন সমান ২ চার ও ২ ছয়ে। মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ২৯ রান। ফ্রাইলিঙ্ক ২৩ বলে করেন ১৭ রান। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। রুবেল ১৭ রানে ও রানা ২৯ রানে ৩টি করে উইকেট পান। উইলিয়ামস ২ উইকেট নেন ২১ রানে।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দেখে-শুনে খেলে প্রথম দশ ওভার কোনো বিপদ ছাড়াই পার করে দেন সিমন্স ও জুনায়েদ। তারা গড়েন ৬৯ রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও ম্যাচ জিততে বেগ পেতে হয়নি চট্টগ্রামের। সিমন্স ২৮ বলে ৩৬ ও জুনায়েদ ৩৯ বলে ৩৮ রান করেন। ইমরুল অপরাজিত থাকেন ২৭ বলে ৩০ রানে। খুলনার হয়ে ২০ রানে ২ উইকেট নেন ফ্রাইলিঙ্ক।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

খুলনা টাইগার্স: ১৯.৫ ওভারে ১২১ (মিরাজ ৪, আমলা ৮, রুশো ৪৮, শামসুর ০, মুশফিক ২৯, ফ্রাইলিঙ্ক ১৭, ইয়ামিন ০, আলাউদ্দিন ১, শফিউল ৩*, তানভির ৩, আলিস ১; রুবেল ৩/১৭, নাসুম ০/১৮, মেহেদি রানা ৩/২৯, উইলিয়ামস ২/২১, জিয়া ১/২২, গুনারত্নে ০/১৪)

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৮.১ ওভারে ১২৪/৪ (সিমন্স ৩৬, জুনায়েদ ৩৮, ইমরুল ৩০*, গুনারত্নে ০, ওয়ালটন ৭, নুরুল ২*; ইয়ামিন ০/২৯, ফ্রাইলিঙ্ক ২/২০, শফিউল ০/২২ , আলিস ১/২৭, আলাউদ্দিন ০/৮, মিরাজ ১/১০, রুশো ০/৭)।

ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৬ উইকেটে জয়ী।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago