জাতীয় দলেও উপরে ব্যাট করতে চান আফিফ
এমনিতে তিনি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানই। কিন্তু জাতীয় দলে তারকাদের ভিড়ে জায়গা মেলে না টপ অর্ডারে। আফিফ হোসেন বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং পান সাত নম্বরে। বেশিরভাগ ম্যাচে এত পরে নেমে করার থাকে সামান্য। এবার বিপিএলে রাজশাহী রয়্যালসের হয়ে নিয়মিত ওপেন করা আফিফ জাতীয় দলেও উপরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ খুঁজছেন।
আট ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে অভিষেক ম্যাচটাতেই আফিফ কেবল ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিলেন চার নম্বরে। বেশিরভাগ ম্যাচে তার ব্যাটিং পজিশন ছিল সাত। নেমেছেন আট আর ছয় নম্বরেও। অর্থাৎ লোয়ার মিডল অর্ডারই বরাদ্দ তার জন্য।
এবার বিপিএলের নৈপুণ্য দিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনায় বদল আনার পথে আফিফ। বিপিএলে এখন পর্যন্ত দশ ম্যাচ খেলে ব্যাট করেছেন নয় ইনিংসে। দুই ম্যাচে ব্যাট করেছেন তিনে। বাকি সাত ম্যাচেই আফিফ ব্যাট করেছেন লিটনের সঙ্গে ওপেনিংয়ে। সবমিলিয়ে টুর্নামেন্টে এই বাঁহাতি ১৩৬.৬০ স্ট্রাইক রেটে সংগ্রহ করেছেন ৩০৬ রান।
লিটনের সঙ্গে তার ওপেনিং জুটি টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সেরা। প্রতি ম্যাচেই তারা তাদের দলকে পাইয়ে দিচ্ছেন আগ্রাসী শুরু। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে খেলছেন স্ট্রোকে ভরা ঝলমলে ইনিংস।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচেও এই জুটি ছিল জম্পেশ। পাওয়ার প্লেতে ৫৯ রান উঠিয়ে তারপর বিচ্ছিন্ন হন তারা। ২০ বলে ৩৬ করে লিটন ফেরার পর আফিফ করেন ৩০ বলে ৪৬ রান। ম্যাচ শেষে আফিফ জানালেন, জাতীয় দলেও উপরে ব্যাট করার এমন সুযোগ এলে লুফে নিতে পুরো তৈরি তিনি, ‘তা তো অবশ্যই (উপরে ব্যাট করার জন্য প্রস্তুত)। আমি টপ অর্ডারে ব্যাট করতে পছন্দ করি, তিন নম্বরে খেলিই, এখানে ওপেন করছি। জাতীয় দলে এই সুযোগ হচ্ছে না, ওখানে বড় রান করার সুযোগ মিলছে না। যদি সুযোগ হয় উপরে ব্যাট করার, তখন চেষ্টা করব ভালো করার।’
লিটনের সঙ্গে গত বিপিএলেও সিলেট সিক্সার্সের হয়ে ওপেন করেছেন আফিফ। দুজনের রসায়ন হয়েছে পোক্ত। দ্রুত তাই আনতে পারছেন দারুণ সব শুরু, ‘লিটন ভাই আর আমি অনেক আগে থেকেই একসঙ্গে খেলি। আর সিলেট সিক্সার্সেও একসঙ্গেও খেলেছি। সেখানেও ওপেন করেছি দুজন। ওখান থেকেই আমাদের বোঝাপড়া খুবই ভালো। যে কারণে এখানে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
এদিন সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে যে উইকেটে খেলা হয়েছে, তাতে রান ওঠানো খুব সহজ ছিল না। রান তাড়ায় নেমে আফিফ শুরুতে ছিলেন অস্থির। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েও আম্পায়ারের ভুলে বেঁচে যান। পরে মানিয়ে নিয়ে খেলেছেন জুতসই ইনিংস, ‘উইকেটে অসমান বাউন্স ছিল। কোনটা নিচ দিয়ে যাচ্ছে, কোনটা উপরে লাফাচ্ছে- বোঝা যাচ্ছিল না। প্রথম ওভারে নতুন কিছু চেষ্টা করেছিলাম, পরে দেখলাম উইকেট এমন। পরে বেসিক (স্বাভাবিক ধরনে) খেলার চেষ্টা করেছি, যেটার কারণে রান করতে পেরেছি।’
Comments