ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ

কুর্মিটোলা থেকে যেসব আলামত জব্দ করেছে পুলিশ

ঢাকার কুর্মিটোলায় যে জায়গায় গত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন সেখানে আন্ডারগার্মেন্ট ও ইনহেলারের মতো বেশ কিছু আলামত পাওয়া গেছে।

ঢাকার কুর্মিটোলায় যে জায়গায় গত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন সেখান থেকে বেশ কিছু আলামত জব্দ করেছে পুলিশ।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে সিআইডির একটি দল গত রাত পৌনে ১২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সেখান থেকে একটি প্যান্ট, চাবির রিং, দুটি ইনহেলার, সর্দি-জ্বরের কিছু ওষুধ, একটি কলম ও একটি খাতা পেয়েছেন তারা।

আমিনুল জানান, জব্দ করা আলামতগুলোর মধ্যে কোনগুলো ভিকটিমের সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব না হওয়ায় আলামত পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, পরীক্ষা করেই নিশ্চিত হওয়া যাবে আলামতগুলো কার।

ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা জানান, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের কাছে গলফ ক্লাবের ফটকে সার্বক্ষণিক দুই জন নিরাপত্তা কর্মী থাকেন। তবে ঘটনার বিষয়ে তারা কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা কর্মী ফরহাদ।

ধর্ষণের ঘটনায় রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা আজ (৬ জানুয়ারি) সকালে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলাটি করেন।

এ ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে র‌্যাব, পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তদন্ত করছেন।

মেডিকেল বোর্ড গঠন

ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর চিকিৎসার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) কর্তৃপক্ষ।

ছয় সদস্যের ওই কমিটির নেতৃত্বে আছেন গাইনি বিভাগের অধ্যাপক সালমা রউফ।

ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) প্রধান ডা. বিলকিস বেগম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ওই শিক্ষার্থী এখনও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। 

আরও পড়ুন:

ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড

ক্ষোভে উত্তাল ঢাবি, শাহবাগ অবরোধ

শিক্ষার্থী ধর্ষণের বিচারের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভের ডাক

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago