বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: নুর

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল রয়েছে ক্যাম্পাস। গত ৫ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকেই রাস্তায় নেমে এসেছেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনে সামিল হয়েছে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও। বিক্ষোভ মিছিল আর স্লোগানে স্লোগানে তাদের একটাই দাবি, “ধর্ষণের বিচার চাই”।
noor-1_0.jpg
ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল রয়েছে ক্যাম্পাস। গত ৫ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকেই রাস্তায় নেমে এসেছেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনে সামিল হয়েছে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও। বিক্ষোভ মিছিল আর স্লোগানে স্লোগানে তাদের একটাই দাবি, “ধর্ষণের বিচার চাই”।

ধর্ষককে গ্রেপ্তারের জন্য গতকাল ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর। এসব বিষয় নিয়ে আজ (৭ জানুয়ারি) তিনি দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন।

আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে চাইলে নুর বলেন, “ধর্ষককে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। আমাদের আন্দোলন থেমে নেই। আজও আমরা বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।”

তিনি বলেন, “গতকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সব সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এই ঘটনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি আমাদের বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে না পারে, তাহলে আমরা দেশব্যাপী আন্দোলনে নামবো। এ ঘটনার বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”

‘দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতির জন্যই ধর্ষণের মতো ঘৃণিত অপরাধ অহরহ সংগঠিত হচ্ছে’ উল্লেখ করে তিনি এর বিরুদ্ধে বৃহত্তর সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

নুর বলেন, “দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাবে অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। ক্ষমতাসীনরা অপরাধ করে ধামাচাপা দিয়ে দেয়। এ ধরণের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিগত সব ধর্ষণের ঘটনাসহ এ ঘটনারও যেনো উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত হয়।”

আপনারা তো ‘সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য’র ব্যানারে আন্দোলন করছেন, পাশাপাশি ছাত্রলীগও এই ধর্ষণকাণ্ডের বিচার চেয়ে আলাদাভাবে আন্দোলন করছে। এই আন্দোলনে ছাত্রলীগের যোগ দেওয়ার বিষয়টিকে কি ইতিবাচকভাবে দেখছেন? 

নুর বলেন, “আসলে এখানেও আমাদের আশঙ্কা রয়েছে। ছাত্রলীগ তো এই ঘটনার বিচারের জন্য আন্দোলন করছে না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে কেনো প্রতিবাদ গড়ে না উঠে, কোনো সামাজিক আন্দোলন গড়ে না উঠে, পরিস্থিতি ও মাঠ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তারা শো-অফের প্রোগ্রাম করছে।”

“কারণ এর আগে, নিপীড়নবিরোধী আন্দোলনসহ শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উল্টো নিপীড়ন চালিয়েছে এবং হামলা করেছে। তাদের বিচার হয়নি। সুতরাং তারা এখন ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে, এটা হাস্যকর ব্যাপার।”, যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Students besiege HC demanding resignation of 'pro-AL fascist judges'

A group of students marched to the High Court premises to besiege the court, demanding the resignation of "pro-Awami League fascist judges"

1h ago