পেন্টাগন-ট্রাম্প পরস্পরবিরোধী বক্তব্য
ইরানের সাংস্কৃতিক স্থাপনাসহ ৫২টি স্থাপনায় হামলার হুমকি দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক আইনে সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলা একটি যুদ্ধাপরাধ। সেই আইনে স্বাক্ষর করেছে ইরান, যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই। তাই ট্রাম্পকে বাঁচাতে তার বক্তব্যকে ভিন্নভাবে তুলে ধরেছে পেন্টাগন।
আজ (৭ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার জানিয়েছেন, ইরানের সাংস্কৃতিক স্থাপনায় বোমা হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই আমেরিকার।
গতকাল এসপার সাংবাদিকদের বলেছেন, “মার্কিন সেনারা যুদ্ধের আইন মেনে চলবে।”
এর ফলে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ও প্রতিরক্ষা সচিবের কাছ থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেলো।
গত ৫ জানুয়ারি এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প বহু বছর আগে ইরানে ৫২ আমেরিকানের জিম্মির প্রতিশোধ হিসেবে ইরানের ৫২টি স্থাপনায় হামলা করার ঘোষণা দেন। সেসব স্থাপনা যে ইরানের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ তাও তিনি টুইটার বার্তায় উল্লেখ করেছেন।
ট্রাম্প আরও বলেছেন, “সেসব স্থাপনায় ‘দ্রুত ও বিধ্বংসী’ আঘাত হানা হবে। আমেরিকা আর কোনো হুমকি শুনতে চায় না!”
প্রতিরক্ষা সচিব এসপারকে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা চেপে ধরলে তিনি শুধু বলেন, “আসলে আইনটিতো সেরকমই।”
আরও পড়ুন:
ইরানের সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলার হুমকিতে অনড় ট্রাম্প
সেনা প্রত্যাহারের চিঠি ‘ভুল’ ইরাক ছাড়ার পরিকল্পনা নেই: পেন্টাগন প্রধান
Comments