ইমরুলের ব্যাটে শীর্ষে উঠল চট্টগ্রাম

নকআউট নিশ্চিত দুই দলেরই। দুই দলের মোকাবেলা ছিল শীর্ষস্থানে ফেরা বা ধরে রাখার লড়াই। আর সে লড়াইয়ে রাজশাহী রয়্যালসকে হারিয়ে শীর্ষে উঠেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ইমরুল কায়েসের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বন্দর নগরীর দলটি।
Imrul Kayes
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

নকআউট নিশ্চিত দুই দলেরই। দুই দলের মোকাবেলা ছিল শীর্ষস্থানে ফেরা বা ধরে রাখার লড়াই। আর সে লড়াইয়ে রাজশাহী রয়্যালসকে হারিয়ে শীর্ষে উঠেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ইমরুল কায়েসের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বন্দর নগরীর দলটি।

লক্ষ্য তাড়ায় চট্টগ্রামের শুরুটা ছিল দারুণ। এবারের আসরে প্রথম বারের মতো খেলতে নেমে ঝড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ক্রিস গেইল। আফিফ হোসেনের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তিনটি ছক্কা ও একটি চারে ২২ রান নেন তিনি। তবে এরপর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে খোঁচা দিতে গিয়ে আউট হয়েছেন উইকেটরক্ষক ইরফান শুক্কুরের হাতে ক্যাচ দিয়ে।

তবে গেইল না পারলেও পেরেছেন জাতীয় দলের সতীর্থ লেন্ডল সিমন্স। ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ৭৭ রানের দারুণ একটি জুটি গড়েন। কিন্তু দৃষ্টিকটুভাবে রানআউট হয়েছে তিনি। ব্যাট ফেলার আলসেমিতে ক্রিজে ঢুকেও পা শূন্যে থাকায় আউট হন তিনি। এর আগে আরেক ক্যারিবিয়ান রাদারফোর্ডও একই ভাবে আউট হয়েছিলেন এবারের বিপিএলে।

তবে সিমন্সের বাজে আউটের দলে পড়তে দেননি ইমরুল কায়েস। দারুণ ব্যাট করে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। ৪১ বলে ৬৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। ৪১ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় সাজানো তার ইনিংস। সিমন্সের ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান। ফলে ৯ বল হাতে রেখেই জয় পায় দলটি।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে রাজশাহী। চট্টগ্রামের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খুব একটা আগ্রাসী হতে পারেননি রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা। এক লিটন কুমার দাস ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যান সে অর্থে থিতুও হতে পারেননি। পারতেন না লিটন। কারণ ব্যক্তিগত ১৪ রানে রুবেল হোসেনের বলে লংঅফে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তিনি। পয়েন্ট থেকে দৌড়ে গিয়ে সে ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি ক্যাসরিক উইলিয়ামস। অথচ সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন লেন্ডল সিমন্স।

জীবন পেয়ে শেষ পর্যন্ত ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। এ রান করতে ৪৫টি বল খেলেছেন তিনি। ৫টি চারের সঙ্গে ২টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ ওপেনার। তবে শেষ দিকে ফরহাদ রেজার ছোট ক্যামিওতে লড়াইয়ের পুঁজি কিছুটা বড় হয় রাজশাহীর। মাত্র ৮ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ২১ রানের ইনিংস খেলেন রেজা। এছাড়া শোয়েব মালিকের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান।

চট্টগ্রামের পক্ষে দারুণ বোলিং করেছেন রুবেল হোসেন, ও পার্টটাইম পেসার জিয়াউর রহমান। দুইজনই নেন ৩টি করে উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

রাজশাহী রয়্যালস: ২০ ওভারে ১৬৬/৮ (লিটন ৫৬, আফিফ ৯, ইরফান ১৮, মালিক ২৮, রাসেল ২০, বোপারা ৪, কাপালী ১, রেজা ২১*, রাব্বি ৩; নাসুম ০/৩৩, রুবেল ৩/২০, মাহমুদউল্লাহ ০/১৫, উইলিয়ামস ০/৩৮, মুক্তার ০/৪১, জিয়া ৩/১৮)।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৮.৩ ওভারে ১৭০/৩ (সিমন্স ৫১, গেইল ২৩, ইমরুল ৬৭*, মাহমুদউল্লাহ ১০, ওয়াল্টন ১৪*; রাসেল ০/৩০, ইরফান ০/৩০, আফিফ ০/২২, রাব্বি ১/২০, তাইজুল ০/১০, বোপারা ০/২৭, কাপালী ০/১৩, রেজা ১/১৭)।

ফলাফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৭ উইকেটে জয়ী

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago