ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আমেরিকার ক্ষতির স্যাটেলাইট ইমেজ
ইরাকে আমেরিকার দুটি ঘাঁটিতে ইরানের প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর স্যাটেলাইট থেকে তোলা সেই অঞ্চলের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে স্যাটেলাইট ইমেজ সরবরাহকারী সংস্থা প্ল্যানেট ল্যাব।
গতকাল (৮ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সেসব ছবিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগে ও পরে ইরাকের আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটি ও এর আশে-পাশের কয়েকটি এলাকার দৃশ্য দেখা গিয়েছে।
হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডেনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে তার দেশের কোনো সেনার প্রাণহানি হয়নি। দুটি ঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে খুবই সামান্য। তবে ইরানের দাবি, সেই হামলায় অন্তত ৮০ আমেরিকান সেনা নিহত হয়েছে।
ইরাকে প্রায় ৫ হাজার আমেরিকার সৈন্য অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে দেড় হাজার সৈন্য রয়েছে আল-আসাদ ঘাঁটিতে। এছাড়াও, সেখানে আইএসবিরোধী অভিযানে অংশ নেওয়া বিদেশি সৈন্যের পাশাপাশি ইরাকের সেনাবাহিনীও অবস্থান করছে।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর সামরিক বিশ্লেষকরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে চেষ্টা করছিলেন। স্যাটেলাইট ইমেজ ও বিশ্লেষকদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্যে ইরান এমন জায়গা বেছে নিয়েছে যেখানে আঘাত করলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হতে পারে। আবার একই সঙ্গে ইরানের সাহস, শক্তি ও সক্ষমতারও প্রকাশ ঘটবে।
ফলে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিদিষ্টস্থানে আঘাত হানলেও ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে। এর মধ্য দিয়েও ইরানের এক ধরনের সামরিক সক্ষমতার প্রকাশ ঘটেছে। ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ ও নিক্ষেপের কৌশলগত সক্ষমতা অর্জন করেছে ইরান।
স্যাটেলাইট ইমেজগুলো পরীক্ষা করে গণমাধ্যমগুলো বলেছে, ইরানের স্বল্পপাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সঠিক লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। আবার একই সময়ে দেখা যাচ্ছে, আল-আসাদ ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে ছোড়া ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে তিনটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে।
আমেরিকার ঘাঁটি দুটি লক্ষ্য করে ইরান মোট কতোগুলো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিলো তার সঠিক সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মোট ১৫ থেকে ১৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে চারটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে ইরবিল শহরে। বাকিগুলো আল-আসাদ এলাকায়।
ইরাকের গণমাধ্যম বলেছে, ইরান কমপক্ষে ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
আরও পড়ুন:
Comments