দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন ঘাঁটিতে প্রথম সরাসরি হামলা, নমনীয় ট্রাম্প
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম কোনও দেশ আমেরিকার ঘাঁটিতে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর ঘটনা ঘটালো। সেই হামলার পর বিশ্বজুড়ে আশঙ্কা করা হয়েছিলো পাল্টা হামলার। মার্কিন প্রতি-হামলার আতঙ্কে গতরাতে অনেকের ঘুম নষ্ট হয়েছিলো। কিন্তু, শেষমেশ কোনও নতুন হামলার খবরে ঘুম ভাঙেনি বিশ্ববাসীর।
বরং ঘটেছে উল্টো ঘটনা। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখে ঝাঁঝালো কথা শুনতেই সবাই যেনো অভ্যস্ত। তাই ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ‘নমনীয়’ ট্রাম্প পড়েছেন সমালোচনার মুখে।
গতকাল (৮ জানুয়ারি) ভোররাতে ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি এ বিষয়ে বক্তব্য দিবেন। তার বক্তব্যের অপেক্ষায় ছিলেন শত্রু-মিত্র সবাই। এ নিয়ে অনেক কানাঘুষাও চলছিলো। অনেকে ধারণা করেছিলেন, ট্রাম্প হয় নতুন হামলার ঘোষণা দিবেন, নয়তো নতুন হামলা করে দেখাবেন আস্ফালন।
কিন্তু, সেসবের কোনোটিই ঘটেনি।
বরং ট্রাম্প তার ভাষণে বললেন, “ইরানি শাসকদের গতরাতের হামলায় আমেরিকানদের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। মনে হচ্ছে ইরান পিছু হটছে। এটি সংশ্লিষ্ট সবার জন্যেই মঙ্গলময়।”
তার মতে, “বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের বিশাল সামরিক ও প্রযুক্তিগত শক্তি রয়েছে। এর মানে এই নয় যে তা অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।”
ইরানের হামলার পর ট্রাম্প এমন নমনীয় বক্তব্য দিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তার নিজের দলের প্রভাবশালী সিনেটররাও সমালোচনা করছেন।
রিপাবলিকান দলের সিনেটর মাইক লি এবং র্যান্ড পল ট্রাম্পের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। লি বলেছেন, “এই প্রথম সামরিক বিষয়ে এমন নিকৃষ্ট বক্তব্য শুনলাম।”
পল বলেছেন, “(এই বক্তব্যের মাধ্যমে) আমাদের সংবিধানকে অপমান করা হয়েছে।”
Comments