আশুগঞ্জে মেঘনা তীরের ১১টি অবৈধ জেটি উচ্ছেদ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর তীর দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ১১টি অবৈধ জেটি উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এসময় দুইজনকে আটক করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজ কুমার বিশ্বাস ও প্রশান্ত বৈদ্য।
আজ (১০ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিআইডব্লিউটি’র উদ্যোগে কর্মকর্তারা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন। এসময় আশুগঞ্জ নদীবন্দর ফেরিঘাট থেকে খাদ্য গুদামের সাইলো এলাকা পর্যন্ত স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট কর্তৃক অবৈধভাবে গড়ে তোলা ১১টি জেটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া মেঘনা নদীর তীর দখল করে স্তূপ করে রাখা বালু সরিয়ে দখলমুক্ত করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএ’র আশুগঞ্জ ও ভৈরববাজার নদীবন্দর নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “মেঘনা নদী তীরের আশুগঞ্জ অংশে অবৈধভাবে যারা এই দখলের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে “
এছাড়া নদী তীর সম্পূর্ণ দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, “বিআইডব্লিউটিএ’র আবেদনের প্রেক্ষিতে আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর তীরে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এসময় বালু উত্তোলনে নিয়োজিত দুই শ্রমিককে আটক করা হয়। মালিকরা না আসা পর্যন্ত তারা পুলিশি হেফাজতে থাকবেন। মালিকরা আসার পর তাদেরকে অর্থদণ্ড দেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, গতকাল দ্য ডেইলি স্টারে ‘Illegal stations, sand trade threat to 3 Meghna bridges’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, মেঘনা নদী তীর এলাকা দখল করে অবৈধ জেটি নির্মাণ ও নৌযান নোঙর করে বালু নামানোর জন্য রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান রেলওয়ে সেতু, শহীদ হাবিলদার আবদুল হালিম রেলওয়ে সেতু এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতু হুমকির মুখে পড়েছে।
এরপর বিষয়টি বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তারা জেলা প্রশাসনের সহায়তায় আজ ভ্রমমাণ আদালত পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন:
Comments