আমি তো দলে জায়গা প্রত্যাশা করতে পারি না: মাশরাফি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন কিনা, এমন প্রশ্নে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বল ঠেলে দিয়েছেন নির্বাচকদের দিকে। বিশ্বকাপের বির্বন ছন্দের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলছেন, অমন পারফরম্যান্সের পর দলে জায়গা তিনি প্রত্যাশাই করতে পারেন না। খেলা চালিয়ে যাওয়া কিংবা ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে যেন কিছুটা অভিমানীও তিনি।
Mashrafe Mortaza
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন কিনা, এমন প্রশ্নে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বল ঠেলে দিয়েছেন নির্বাচকদের দিকে। বিশ্বকাপের বির্বন ছন্দের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলছেন, অমন পারফরম্যান্সের পর দলে জায়গা তিনি প্রত্যাশাই করতে পারেন না। খেলা চালিয়ে যাওয়া কিংবা ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে যেন কিছুটা অভিমানীও তিনি।

এবারের বিশ্বকাপের আগেই মাশরাফির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। তবে অবসরের প্রসঙ্গে বরাবরই অস্পষ্টতা রেখে দেওয়া মাশরাফি বিশ্বকাপের পরও খেলা চালিয়ে যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নেন। বিশ্বকাপের পর চোটের কারণে খেলতে পারেননি শ্রীলঙ্কা সিরিজে। এরপর মাস পাঁচেকের লম্বা সময় ক্রিকেটের বাইরে থেকে বিপিএল দিয়েই ফেরেন মাঠে। 

চলতি বিপিএলে তার পারফরম্যান্স যাচ্ছে উঠা-নামার মধ্য দিয়ে। শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে তার দল ঢাকা প্লাটুন হেরে যাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন মাশরাফি। 

অবসর ও খেলা চালিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠলে বেশ কিছুটা অভিমান ঝরে মাশরাফির কণ্ঠে। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক কী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যাবেন? মাশরাফির উত্তরে টেনে আনেন নিজের ফর্মহীনতার প্রসঙ্গ, ‘এখন নির্বাচনের  একটা ব্যাপার। ৮ ম্যাচে ১ উইকেট (বিশ্বকাপে) পাওয়ার পর তো আমি দলে জায়গা প্রত্যাশা করতে পারি না সত্যি কথা বললে। নির্বাচকরা যদি মনে করে আমাকে সুযোগ দেবে আমি আর সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। এই মুহূর্তে আমি ৮ ম্যাচে (বিশ্বকাপ) ১ উইকেট পেয়ে কীভাবে বলি আমি জাতীয় দলে সুযোগ পাব। অন্য কেউ  (তার জায়গায়) হলে অবশ্যই আরও আগে বাদ হতো।’ 

নিয়মিত অধিনায়ককে কীভাবে নির্বাচকরা বাদ দিবেন? শ্রীলঙ্কা সফরের দলেই বা তিনি কি করে ছিলেন? মাশরাফি এসব প্রশ্নে বল ঠেলে দিলেন বোর্ডের দিকে,  ‘শ্রীলঙ্কা সিরিজে ছিলাম হয়ত আমার ফেরার সুযোগ ছিল, সাকিবও ছিল না। সব মিলিয়ে হয়ত আমার একটা সুযোগ এসেছিল। এরপর তো আর কোন খেলাধুলা (ওয়ানডে) নেই। আমি জানি না নির্বাচকদের কি চিন্তা ভাবনা আছে। আমার সঙ্গে আলাপ হয়নি। আমি এক পক্ষ থেকে কীভাবে বলব।’

একজন সাধারণ খেলোয়াড় হিসেবে দোয়ার খুলে অপেক্ষা করবেন মাশরাফি। কেবল জাতীয় দলের কথা না ভেবে খেলা চালিয়ে যেতে চান ঘরোয়া ক্রিকেটে,  ‘আমি সাধারণ খেলোয়াড় হিসেবে যেভাবে চিন্তা করার করছি। যদি ওয়ানডে আসে, মনে করে আমার খেলা উচিত তাহলে অবশ্যই আমি থাকব। দিনশেষে আমার কাছে ক্রিকেটটাই সব। যত দিন খেলছি মন দিয়ে খেলব। এটা ম্যাটার করে না যে জাতীয় দল না অন্য কোথায় খেলছি। বাদ বাকি নির্বাচকদের ব্যাপার, বোর্ড দেখবে। ক্যাপ্টেন্সির ব্যাপার। এইগুলা উনারা দেখবে। ’

 

Comments

The Daily Star  | English

Chief adviser meets Bangladesh cricketers

Bangladesh national team cricketers, along with coaching staff, and Bangladesh Cricket Board (BCB) officials, started from the BCB headquarters in Mirpur at noon today and are on their way to meet Professor Muhammad Yunus, chief adviser to the interim government, at his office in Tejgaon.

2h ago