আবারও নব্বুইয়ের ঘরে মুশফিকের আক্ষেপ

Mushfiqur Rahim
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ইনিংসের শেষ বলে তিন রান করলে স্পর্শ করতে পারতেন তিন অঙ্ক। কিন্তু সৌম্য সরকারের বলে মুশফিক নিতে পারলেন এক রান। একই আসরে তাই দুই দুবার নব্বুইয়ের ঘরে গিয়েও সেঞ্চুরি পেলেন না মুশফিকুর রহিম। অবশ্য নিজে আক্ষেপে পুড়লেও দলকে রানের চূড়ায় উঠিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্লে অফে যাওয়ার লড়াইয়া কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে মুশফিক করেন ৫৭ বলে ৯৮ রান। তার দল খুলনা টাইগার্স করেছে ২ উইকেটে ২১৮ রান।

এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম পর্বে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ১৯০ রান তাড়ায়ও টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েছিলেন মুশফিক। চার মেরে খেলা শেষ করতে গিয়ে সেদিন আউট হন ৫১ বলে ৯৬ রান করে। দল জিতলেও মুশফিকের থেকে যায় চার রানের আক্ষেপ।

কুমিল্লার বিপক্ষে শেষ ওভারে সেঞ্চুরি পেতে মুশফিকের দরকার ছিল ৮ রান। ম্যাচের পরিস্থিতির থেকেও মুশফিক সেঞ্চুরি পান কিনা তা নিয়ে ম্যাচের মাঝপথেও তৈরি হয় উত্তাপ। শেষ ওভারটি করতে বল হাতে পেয়েছিলেন সৌম্য। তার করা প্রথম বল থেকে কোন রান নিতে পারেননি মুশফিক। দ্বিতীয় বলে মারেন চার। বাড়ে সেঞ্চুরির আশা। পরের দুই বল ওয়াইড হওয়ার পর লং অফে খেলে এক রান নেন মুশফিক।

স্ট্রাইক পেয়ে নাজিবুল্লাহ জাদরান এক বল ডট করে স্ট্রাইক দেন মুশফিক।  শেষ বলে তাই মুশফিকের সেঞ্চুরি নিয়ে তৈরি হয় জল্পনা। সৌম্যের করা ফুলটস সোজা উড়াতে গিয়ে সৌম্যের হাতেই দেন তিনি, সৌম্য তা রাখতে না পারলেও ওই বল থেকে এক রানের বেশি আসেনি।

এই আক্ষেপ বাদ দিলে শুক্রবার মিরপুরের সন্ধ্যা চার-ছক্কায় মাতান বাংলাদেশের ক্রিকেটের বড় এই নাম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে গড়েন ১৬৮ রানের জুটি। ৪৫ বলে ৭৪ করা মিরাজ হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পড়ে মাঠ ছাড়লে আর বাড়েনি সে জুটি।

চোখ ধাঁধানো ইনিংসে ১২ চার আর ৩ ছক্কা মারেন মুশফিক। এবারের বিপিএলে চারশোও ছাড়িয়ে যায় মুশফিকের রান।

Comments

The Daily Star  | English

Please don't resign: An appeal to Prof Yunus

A captain cannot abandon ship, especially when the sea is turbulent

8h ago