আফিফের সঙ্গে জুটি বেঁধে লিটন মজা পাচ্ছেন

লিটন দাসের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটি জমে যাওয়া নিয়ে আফিফ হোসেন কয়েক দিন আগেই বলেছিলেন, তাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা খুব ভালো। এবার লিটনও মুখ খুলেছেন দুজনের মাঠের রসায়ন নিয়ে। জানিয়েছেন, আফিফের সঙ্গে ব্যাটিং করে মজা পাচ্ছেন তিনি।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

লিটন দাসের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটি জমে যাওয়া নিয়ে আফিফ হোসেন কয়েক দিন আগেই বলেছিলেন, তাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা খুব ভালো। এবার লিটনও মুখ খুলেছেন দুজনের মাঠের রসায়ন নিয়ে। জানিয়েছেন, আফিফের সঙ্গে ব্যাটিং করে মজা পাচ্ছেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম তিন ম্যাচে লিটনের সঙ্গে ইনিংসের উদ্বোধন করেছিলেন আফগানিস্তানের হজরতউল্লাহ জাজাই। টিম কম্বিনেশনের কারণে তিনি বাদ পড়ায় চতুর্থ ম্যাচ থেকে আফিফকে নামতে হয় শুরুতে। এরপর থেকে টানা নয় ম্যাচে জুটি বেঁধে রাজশাহী রয়্যালসের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করেছেন লিটন ও আফিফ।

নয় ইনিংসের ছয়টিতেই লিটন-আফিফের উদ্বোধনী জুটি এনেছে পঞ্চাশের বেশি রান। প্রতি ম্যাচেই পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে ঝড় তুলছেন দুই সহজাত আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান। তারা খেলছেন বাহারি সব স্ট্রোক, ভোগাচ্ছেন প্রতিপক্ষ বোলারদের। সবশেষ ম্যাচে শনিবার (১১ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ৮৮ রানের জুটি গড়েন দুজনে। তাদের কল্যাণে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বিশাল জয় পায় রাজশাহী।

ডানহাতি লিটন ও বাঁহাতি আফিফের নয় উদ্বোধনী জুটিতে ৫০.৬৬ গড়ে এসেছে মোট ৪৫৬ রান। তাদের জুটিগুলো ক্রমানুসারে এমন- ৭৫, ৬০, ৫৬, ৩৯, ১২, ৫১, ৫৯, ১৬ ও ৮৮।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেছেন, ‘আফিফের সঙ্গে ব্যাটিং করে মজা পাচ্ছি। সত্য কথা বলতে টি-টোয়েন্টিতে একটু আক্রমণাত্মক খেলতেই হয়। একটু মারতে হবে, ঝুঁকি নিতে হবে। এই দায়িত্বটা অফিফই নিয়েছে। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক খেলছে। আমি “বল টু বল” খেলার চেষ্টা করছি।’

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের লিগ পর্ব শেষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছেন লিটন। ১২ ম্যাচে ৩৮.৩৬ গড়ে ও ১৩৯.৭৩ স্ট্রাইক রেটে তার সংগ্রহ ৪২২ রান। হাফসেঞ্চুরি করেছেন তিনটি। আফিফ আছেন দশম স্থানে। ১২ ম্যাচে ৩১.৫৪ গড়ে ও ১৩৩.৪৬ স্ট্রাইক রেটে তার রান ৩৪৭। তিনি পঞ্চাশ পেরিয়েছেন একবার।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago