১৪ সেলাই নিয়েও খেলতে মরিয়া মাশরাফি!

বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনীর মাঝে বেশ অনেকখানি কেটে যাওয়ায় ১৪টি সেলাই পড়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার বাম হাতের তালুতে। ঢাকা প্লাটুনের অধিনায়ক তারপরও মাঠে নামতে মরিয়া। হাতে সেলাই নিয়েই তিনি খেলতে চান চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে।
Mashrafe Mortaza
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনীর মাঝে অনেকখানি কেটে যাওয়ায় ১৪টি সেলাই পড়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার বাম হাতের তালুতে। ঢাকা প্লাটুনের অধিনায়ক তারপরও মাঠে নামতে মরিয়া। হাতে সেলাই নিয়েই তিনি খেলতে চান চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকার ম্যানেজার আহসানুল্লাহ হাসান দ্য ডেইলি স্টার’কে বলেছেন, হাতে ১৪টি সেলাই থাকলেও খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মাশরাফি, ‘আপনারা তো তাকে চেনেন। তিনি লড়াকু মানুষ। সেলাই নিয়েও তিনি খেলতে চাইছেন। তিনি মাঠে নামতে মরিয়া।’

আগের দিনের ম্যাচের একাদশ ওভারের ঘটনা। মেহেদী হাসানের বল উড়িয়ে মেরেছিলেন খুলনা টাইগার্সের রাইলি রুশো। কাভারে ক্যাচ নিতে বামদিকে ঝাঁপিয়েছিলেন মাশরাফি। ক্যাচ হাতে জমাতে পারেননি। বরং বলের আঘাতে রক্তাক্ত হাত নিয়ে ব্যথার তীব্রতায় মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। পরে জানা যায়, তার হাতে লেগেছে ১৪টি সেলাই।

হাসান যোগ করেছেন, ‘অনেক সময় অনেক রকম সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যেহেতু মাশরাফির বোলিং হাত না, তাই আমরা আলাপ করে দেখব কী করা যায়। আগামীকাল (সোমবার) আমরা সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টার’কে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, যদি কেউ খেলতে চায় তাহলে খেলা সম্ভব, তবে বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। তাছাড়া একটা সেলাই শুকাতেও তো ৫-৭ দিন সময় লাগে।’

তবে ঝুঁকির কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি, ‘যদি মাশরাফি এবং তার দল মরিয়া হয়, তাহলে আমরা একটা ব্যবস্থা করব। কিন্তু এ ব্যাপারে মাশরাফি বা তার দল এখনও আমাকে কোনো অ্যাপ্রোচ করেনি। আর খেললে ঝুঁকি থাকবে। সেটা মাথায় নিয়েই খেলতে হবে।’

এলিমিনেটর ম্যাচে আগামীকাল সোমবার লড়বে ঢাকা ও চট্টগ্রাম। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago