ক্রসফায়ার সমর্থনে এমপিদের বক্তব্য এক্সপাঞ্জের দাবি টিআইবির

tib_2.jpg

ধর্ষককে ‘ক্রসফায়ার’ এ মেরে ফেলার সমর্থনে সংসদে এমপিদের দেয়া বক্তব্য এক্সপাঞ্জের দবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানিয়েছেন, সংসদে এ ধরনের বক্তব্য আইনের শাসন, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের সঙ্গে সুস্পষ্টভাবে সাংঘর্ষিক।

তিনি বলেন, “জাতীয় সংসদে গতকাল এক আলোচনায় সম্মানিত সংসদ সদস্যদের একাংশের হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশের অংশ হিসেবে অপরাধ দমনে ক্রসফায়ারে হত্যার দাবি তুলে ধরা হয়, যা গভীরভাবে নিন্দনীয় ও উদ্বেগজনক।”

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “অপরাধ প্রতিরোধে এই পন্থার ‘কার্যকারিতা’ তুলে ধরে তারা তা ধর্ষণের ক্ষেত্রেও প্রয়োগের জোর দাবি জানান, যা একদিকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত বিচারবহির্ভুত হত্যার অভিযোগের যথার্থতা প্রমাণ করে, অপরদিকে বেআইনি এ পদ্ধতির পক্ষে আইনপ্রণেতাদের নিন্দনীয় উৎসাহ ও ঢালাও সমর্থন তুলে ধরে, যা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অশনি সংকেত।”

ড. জামান আরো বলেন, ‘‘আইনপ্রণেতা হয়ে তারা কেমন করে ভুলে গেলেন আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার সুরক্ষার প্রাধান্যের কথা। এই অবস্থান আইন-শৃংখলা সংস্থাগুলোর পেশাদারত্বকে অবক্ষয়ের মুখে ঠেলে দেবে; বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতি মানুষের মধ্যে আস্থাহীনতা বাড়াবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভ্যন্তরে আইন লঙ্ঘনের প্রবণতা বৃদ্ধি করবে, ট্রিগার-হ্যাপি (হত্যাই অপরাধ দমনের একমাত্র উপায়) সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাবে।”

এ ধরনের অপরিপক্ক বক্তব্য রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি অসম্মানজনক এবং ক্রসফায়ার বিষয়ে উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ ও বাংলাদেশের স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কনভেনশনের প্রতি অবমাননাকর উল্লেখ করে ড. জামান আরো বলেন, ‘‘ক্রমবর্ধমান ধর্ষণের ঘটনায় সাম্প্রতিককালে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক অনেক বেশি অনিরাপদ ও উদ্বিগ্ন। সবার দাবি, আইনের আওতায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের মাধ্যমেই এ অপরাধ প্রতিরোধ করতে হবে, আইনের লঙ্ঘন করে নয়।

আরও পড়ুন:

ধর্ষকের ‘ক্রসফায়ার’ দাবি সংসদে

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

11h ago