এরকম কঠিন পরিস্থিতিই ভালোবাসেন রাসেল

১২ বলে চাই ৩১। ওভারপ্রতি নিতে হতো ১৫ রানেরও বেশি। চার-ছক্কার ঝড়ে ৪ বল আগেই সেই রান তুলে নেন আন্দ্রে রাসেল। ম্যাচ শেষে জানান, এমন পরিস্থিতি বরাবরই ভালোবাসেন তিনি। এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দেখলেই তেতে ওঠার রসদ পান তিনি।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ২২ বলে ৭ ছক্কা ও ২ চারে রাসেলের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৫৪ রান। ১৬৫ রান তাড়ায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ২ উইকেটে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনালে ওঠে তার দল রাজশাহী রয়্যালস। অথচ এক পর্যায়ে ম্যাচটা হাতছাড়া হতে বসেছিল তাদের। শেষ ৩১ বলে দরকার ছিল ৮২ রান। ওভারপ্রতি তখনই ১৬ রানের বেশি প্রয়োজন ছিল তাদের।
ক্যারিবিয়ান এই খুনে ব্যাটসম্যান ম্যাচ জিতিয়ে এসে জানালেন, বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান ওঠাবার যত চাপ বাড়ে, ততই পরিস্থিতি উপভোগ করতে থাকেন তিনি, ‘আমি এই ধরনের পরিস্থিতিতে খেলতে ভালোবাসি। যখন ওভারপ্রতি ১৩-১৪ করে দরকার, তখন চাপ থাকে। সেই চাপ আমি পছন্দ করি। কখনো ওভারপ্রতি ১৬-১৭ রান করে দরকার হয়। আমি এই ধরনের চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসি। আমি খোলা মন নিয়ে নামি, আগে কোনো পরিকল্পনা করি না।’
তার মতোই আরেক ক্যারিবিয়ান ঝড় তুলেছিলেন ম্যাচের প্রথম ভাগে। ক্রিস গেইলের ২৪ বলে ৬০ রানই মূলত চট্টগ্রামকে দেয় লড়াইয়ের রসদ। তবে গেইল যে অগ্নিমূর্তিতে ইনিংস শুরু করেছিলেন, তাকে নিজেদের জন্য বিশাল ক্ষতি হয়ে ওঠার আগেই ফেরানোর মুহূর্তটিকে রাসেল দেখছেন ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে, ‘আফিফ ক্রিসকে (ক্রিস গেইল) আউট করেছে। আমি তাকে বলেছিলাম দুই-একটা ছক্কা খেয়ে হলেও গেইলকে আউট করতে হবে। আপনারা জানেন, ক্রিস উইকেটে থাকলে কী করতে পারে।’
এমন ম্যাচ জিতে ফাইনালে যাওয়ার পরও কোনো উৎসব করবে না রাজশাহী। অধিনায়ক রাসেল জানান, তারা সবটা জমিয়ে রাখছেন ফাইনালের জন্য, ‘আমার মনে হয়, আমরা এখনো শান্ত থাকব। দুদিন পর বড় ম্যাচ, ওইটার পর আশা করছি, জমিয়ে পার্টি হবে।’
আগামী ১৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনালে রাজশাহী রয়্যালসের প্রতিপক্ষ খুলনা টাইগার্স। ম্যাচ শুরু সন্ধ্যা সাতটায়।
Comments