‘পোশাক শ্রমিকদের বেশিরভাগই নিরাপত্তাহীন জীবন কাটাচ্ছেন’

দেশের প্রায় ৩০ লাখ পোশাক শ্রমিকের বেশিরভাগই নিরাপত্তাহীন জীবন কাটাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন পোশাক শ্রমিক নেত্রী তাসলিমা আক্তার।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির উদ্যোগে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। ১৭ জানুয়ারি ২০২০। ছবি: আনিসুর রহমান/ স্টার

দেশের প্রায় ৩০ লাখ পোশাক শ্রমিকের বেশিরভাগই নিরাপত্তাহীন জীবন কাটাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন পোশাক শ্রমিক নেত্রী তাসলিমা আক্তার।

আজ (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পোশাক শ্রমিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির উদ্যোগে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তাসলিমা বলেছেন, “দেশে বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ পোশাক শ্রমিক রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই নিরাপত্তাহীন জীবন কাটাচ্ছেন। যদিও দেশের অর্থনীতিতে তারা ব্যাপক ভূমিকা রাখছে, তবুও ঘরে-বাইরে ও কর্মস্থলে তারা অবহেলিত।”

তার মতে, “ধর্ষকদের যথাযথ শাস্তি না হওয়ার কারণেই ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেছে। ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে সুবর্ণচরের মতো গণধর্ষণ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতো না।”

“ধর্ষণের পেছনে শুধু ধর্ষকই দায়ী নয়। সরকার, দেশের বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও দায়ী। কারণ, তারা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ,” বলে মনে করেন তিনি।

উল্লেখ্য, সাভারের আশুলিয়ায় বাড়িভাড়া পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় গত ১৪ জানুয়ারি রাতে এক পোশাক শ্রমিককে (২২) ওই বাড়ির মালিক ও তার তিন সহযোগী মিলে গণধর্ষণ করে।

মানববন্ধনে এই ঘটনাসহ সব ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ এবং অভিযুক্ত ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

এদিকে আশুলিয়ার গণধর্ষণের ঘটনায় গত ১৫ জানুয়ারি থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নারী। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়ির মালিককে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago