গতির সঙ্গে কোনো আপোষ নয়: হাসান মাহমুদ
পাকিস্তানি স্পিড স্টার শোয়েব আখতার, অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার ব্রেট লির গতির ঝড় দেখে শৈশবে ক্রিকেটে আগ্রহ তৈরি হয়েছিল হাসান মাহমুদের। গতিতে ব্যাটসম্যানদের পরাভূত করে স্টাম্প ছত্রখান করে দেওয়া, ব্যাটসম্যানদের শরীর তাক করে ডেলিভারি দিয়ে গায়ে লাগানোর ঝোঁক তার প্রবল। এবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সেই গতি দিয়েই বাজিমাত করে হাসান প্রথমবারের মতো ঠাঁই পেয়ে গেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলে। ২০ বছরের এই তরুণ গতি দিয়ে আলো ছড়াতে চান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও।
বিপিএলের পারফরম্যান্সের কারণেই শনিবার (১৮ জানুয়ারি) পাকিস্তান সফরের টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েছেন হাসান। বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনের হয়ে ১৩ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন। তবে সবচেয়ে নজরকাড়া ছিল তার গতি। দেশি পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গতিতে বল করতে দেখা গেছে তাকে। একবার ১৪৪.১ কিলোমিটার গতিও উঠিয়েছিলেন হাসান। নিয়মিত তিনি বল করেছেন ১৪০ কিলোমিটারের আশেপাশে।
পাকিস্তান সফরের দলে জায়গা পেয়ে দ্য ডেইলি স্টারকে এই তরুণ বলেছেন, গতির সঙ্গে কোনো আপোষ করতে চান না তিনি, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই পেস বোলিং নিয়ে আগ্রহী ছিলাম। আমার যেহেতু গতি আছে, ওটা নিয়েই আমার কাজ করতে হবে। গতির সঙ্গে আপোষ করার ইচ্ছে নেই। আমার যতটুকু গতি দেওয়ার, ততটুকু দিয়ে বল করব। আমার গায়ে যত শক্তি আছে, তা দিয়ে জোরে বল করতে চাই।’
এবার বিপিএলের আগে হাসান ছিলেন না আলোচনায়। দেশি-বিদেশি এত তারকার ভিড়ে নিজেকে আলাদা করতে পারবেন, তা হয়তো নিজেও ভাবেননি। তবে ঢাকার একাদশে জায়গা পেয়ে নিজেকে কেবল পাদপ্রদীপের আলোতেই আনেননি, জায়গা পেয়ে গেছেন বাংলাদেশ দলেও। তাতে বদলে গেছে তার ক্যারিয়ারের গতিপথ। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এমন বড় চিন্তা মাথাতেই ছিল না তার, ‘জাতীয় দলে জায়গা পাব, এমন কিছু ভেবে বিপিএলে খেলতে নামিনি। আমার চিন্তা ছিল ভালো করব। সেটা হয়েছে এবং দলে সুযোগ পেয়েছি।’
প্রথমবার ডাক পাওয়া হাসান জাতীয় দলের জার্সিতে নিজের লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘বিপিএলে যেমন ভালো করার চেষ্টা করেছি, জাতীয় দলেও তেমনটা করার চেষ্টা থাকবে। নিজেকে উজাড় করে দিয়ে খেলব।’
Comments