‘রাষ্ট্রক্ষমতায় আজীবন থাকার সোভিয়েত বাসনা আমার নেই’

রাশিয়া তার হাত ধরে আর সোভিয়েত যুগে ফেরত যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন।
Vladimir Putin
রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

রাশিয়া তার হাত ধরে আর সোভিয়েত যুগে ফেরত যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন।

সেসময় রাষ্ট্রনায়কেরা তাদের জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতেন। রাষ্ট্রের দায়িত্ব পরবর্তীতে কার হাতে যাবে কিংবা কীভাবে ক্ষমতার পরিবর্তন আসবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রক্রিয়াও তখন ছিলো না- সরকার কাঠামো নিয়ে গত সপ্তাহে তার আনা সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।

সংস্কার প্রস্তাব আনার পর রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী। সংবিধান সংশোধনের আলোচনাও এসেছে পুতিনের গত সপ্তাহের প্রস্তাবনায়। এ প্রসঙ্গে ৬৭ বছর বয়সী রুশ রাষ্ট্রপতি বলেছেন, “একটা দেশের জন্য রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনের অন্তর্বর্তীকালীন সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

পুতিন গত দুই দশক ধরে রাশিয়ার ক্ষমতায় রয়েছেন। দেশটির বর্তমান সংবিধান গৃহীত হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর। সংবিধানে থাকা রাষ্ট্রপতির মেয়াদ সীমা নতুন করে বিবেচনা করা হবে কী না জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানিয়েছেন, “আমি মনে করি, ১৯৮০’র দশকের পরিস্থিতিতে ফিরে না যাওয়াই ভালো।”

তার মতে, “রাষ্ট্রপ্রধানরা তখন তাদের জীবনের শেষদিন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতেন। তাদের মৃত্যুর পর ক্ষমতার পরিবর্তন কীভাবে আসবে কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা কেমন হবে, সে প্রসঙ্গে কোনো ধারনাও দিয়ে যেতেন না তারা।”

সোভিয়েত রাষ্ট্রপ্রধান লিওনিদ ব্রেজনেভ, ইউরি আন্দ্রোপভ এবং কনস্টান্টিন চেরনেঙ্কো নিজ অফিসেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন। চেরনেঙ্কোর উত্তরসূরি মিখাইল গর্বাচেভ সোভিয়েত-ব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য পেরেস্ত্রোইকা (রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার) এবং গ্লাসনস্ত (ব্যক্তিস্বাধীনতা) নামের দুটি নতুন ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছিলেন। সোভিয়েত রাশিয়ার (ইউএসএসআর) চূড়ান্ত পতন পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
BNP office in Nayapaltan

Column by Mahfuz Anam: Has BNP served its supporters well?

The BNP failed to reap anything effective from the huge public support that it was able to garner late last year.

7h ago