নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে: মাহবুব তালুকদার
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থার সংকট নিরসন সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
আজ (২০ জানুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার কাছে লেখা চিঠিতে তিনি এ কথা বলেছেন।
চিঠিতে মাহবুব তালুকদার লিখেছেন, “নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থার সংকট নিরসন সম্ভব হবে না।”
তার মতে, “কমিশন আইনানুগভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারলে আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা সম্পর্কে জনমনে প্রশ্নের উদ্রেক হবে এবং কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা জনসমক্ষে প্রতিভাত হবে।”
চিঠিতে প্রার্থীদের হলফনামা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “প্রার্থীদের হলফনামা নিয়ে নানা অভিযোগ আছে। হলফনামা যাচাইয়ের কোন উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এতে হলফনামা প্রদানের বিধান প্রশ্নের সম্মুখীন, যাতে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়।”
তিনি আরও লিখেছেন, “আজ ২০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ‘প্রথম আলো’ পত্রিকায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের একটি বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়েছে, যার শিরোনাম “ফিরে দেখা ২০১৯: মশক নিয়ন্ত্রণ”। এই বিজ্ঞাপনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিগত বছরে মশক নিয়ন্ত্রণের নানাপ্রকার ফিরিস্তি দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞাপনটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সদ্যবিদায়ী মেয়রের পক্ষে তার সাফল্যের প্রচারণা ছাড়া আর কিছু নয়। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের এই প্রচারণার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।”
“ইতোপূর্বে ১৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রদত্ত আমার ইউ ও নোটে মাননীয় সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারণা বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বন্ধ করার জন্য একটি পরিপত্র জারির অনুরোধ জানিয়েছিলাম। ইতোমধ্যে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, নির্বাচনে সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন মাননীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। আরেকজন মাননীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা শহরে রাজনৈতিক বক্তৃতা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।”
এ সব কার্যক্রম সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের সুস্পষ্ট নির্দেশনাসহ পরিপত্রটি জারির আবশ্যকতা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
Comments