মানসিকতা বদলে টি-টোয়েন্টিতে ‘অশান্ত’ হওয়া শিখেছেন শান্ত

Nazmul Hossain Shanto
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

তাকে কখনই টি-টোয়েন্টির আদর্শ ব্যাটসম্যান মনে করা হতো না। নাজমুল হোসেন শান্তর খেলার ধরণের সঙ্গে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটই ছিল মাননসই। লম্বা সংস্করণের যাদের নিয়ে আশা, সেই ছোট্ট তালিকাতেও থাকেন তিনি। কিন্তু সর্বোচ্চ পর্যায়ে কোন সংস্করণেই দেখাতে পারছিলেন না সামর্থ্যের বিচ্ছুরণ। এবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ব্যর্থতার সেই বৃত্ত ভেঙে সবাইকে চমকে দিয়েছেন তিনি। দেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একমাত্র সেঞ্চুরি এসেছে তার ব্যাটেই। তাও রীতিমতো খুনে ব্যাটিংয়ে। তাতে জায়গা মিলেছে পাকিস্তানগামী টি-টোয়েন্টি দলেও।

এবার বিপিএলে ১১ ম্যাচে ১৪৩.৯২ স্ট্রাইকরেটে ৩০৮ রান করেছেন। করেছেন একটি করে সেঞ্চুরি আর ফিফটি। অথচ এর আগে সব ধরণের টি-টোয়েন্টি মিলিয়েও ৫০ পেরুতে পেরেছিলেন আর একবার।

এমন উন্নতির পেছনে কারণ নাকি মানসিকতার বদল,  ‘আমার কাছে মনে হয় যে মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে অনেক। বিশ্বাস আসছে যে এই ফরম্যাটেও রান করা সম্ভব। যেহেতু প্রথমে কয়েকটি ম্যাচ রান করিনি, আত্মবিশ্বাসে একটু অভাব ছিল। তো মানসিকভাবে ওভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি যে আমি এই ফরম্যাটেও রান করতে পারি। নিজের মধ্যে বিশ্বাস আনার চেষ্টা করেছি। তো এটা আসার কারণে শেষের কয়েকটি ম্যাচে রান হয়েছে।’

পাকিস্তান সফরে টি-টোয়েন্টি দলে শান্ত মূলত দলে এসেছেন ব্যাকআপ ব্যাটসম্যান হিসেবে। এই সফর থেকে মুশফিকুর রহিম নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। চোটের কারণে রাখা যায়নি ইমরুল কায়েসকেও। সুযোগ পেলে তার উপর ভারটা থাকবে বড়, সেজন্য অবশ্য পুরোপুরি তৈরি তিনি, ‘আমাদের যে ক্রিকেটাররা আছেন এবং নির্বাচকরা আমাদের ওপর বিশ্বাস রেখেছেন। এজন্যই আমাদের নিয়েছেন। এরকমভাবে চিন্তা করছি না যে মুশফিক ভাইয়ের জায়গায় আমাদের একটা বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। ওরকম কিছু না, আমরা ইতিবাচক আছি। আমাদের নিজেদের যে শক্তি ওই অনুযায়ী খেলতে পারলে খুব একটা সমস্যা হবে বলে মনে করছি না।’

মূলত টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান তিনি। বিপিএলে সাফল্য পেয়েছেন ওপেন করতে নেমে। জাতীয় দলে ওপেনারের ছড়াছড়ি থাকায় উপরে সুযোগ পাওয়া কঠিন। সেই বাস্তবতা মেনে নিজেকে রাখছেন প্রস্তুত,  ‘সাধারণত আমি টপ অর্ডারে খেলি। ওখানে নামলে তো অবশ্যই ভালো। যেটা আমি বললাম, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে যেখানে নামায়

যেকোনো পজিশনে রান করা উচিত। এখন যদি চিন্তা করা যায় বড় বড় ক্রিকেটাররা যেকোনো পজিশনে ব্যাটিং করে এবং রান করার সক্ষমতা রাখে। ওভাবেই আমি চিন্তা করছি যে যেখানে ব্যাটিংয়ের সুযোগ আসবে, সেখানেই পারফর্ম করার চেষ্টা করব।’

Comments

The Daily Star  | English
IT parks in Bangladesh

IT parks drained away hefty funds

The former ICT state minister, Zunaid Ahmed Palak, had boasted in 2016 that sprawling IT park in Kaliakoir would employ up to a million people over 10 years.

14h ago