জাপান রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সহায়তা দিতে প্রস্তুত: রাষ্ট্রদূত

বাসস
Japan
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর জাতীয় সংসদ ভবন কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে জাপানী রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় নবনিযুক্ত জাপানী রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বলেছেন, তাঁর দেশ রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশকে যেকোনো প্রকারের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

তিনি বলেছেন, “আমরা রোহিঙ্গা সমস্যার একটি টেকসই সমাধান চাই এবং এ বিষয়ে আমরা বাংলাদেশকে যেকোনো প্রকারের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছি।”

জাপানের রাষ্ট্রদূত গতকাল (২০ জানুয়ারি) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর জাতীয় সংসদ ভবন কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় একথা বলেন।

বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ব্যাপক উপস্থিতি কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মিয়ানমারের জনগণের দীর্ঘ সময়ের উপস্থিতির কারণে এখানে সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডের সৃষ্টি হতে পারে বলেও তিনি আশংকা ব্যক্ত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় জাপানের সহযোগিতার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ২০২২ সালে জাপান এবং বাংলাদেশ তাঁদের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী ব্যবসা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করেন।

দেশের শিল্পায়ন এবং জনগণের কর্মসংস্থানে তাঁর সরকারের উদ্যোগে সারাদেশে একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাপানী বিনিয়োগকারীদের জন্য আড়াইহাজার এবং গাজীপুরে জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। জাপানের উদ্যোক্তারা সেখানে নিজস্ব প্রয়োজন অনুযায়ী শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে পারে।”

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সময় জাপানের স্বীকৃতি প্রদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুই এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ভিত রচনা করেন।

বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে জাপানের সংশ্লিষ্টতার জন্য প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অন্ততপক্ষে ৩১০টি জাপানী প্রতিষ্ঠান দেশে কাজ করে যাচ্ছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পূর্ব এবং পশ্চিমের কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য কক্সবাজার বিমানবন্দরকে উন্নত করা হচ্ছে।”

জাপানের সহায়তায় বাংলাদেশে বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের উল্লেখ করে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, “বাংলাদেশ জাপানের সব থেকে দীর্ঘ এবং বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী।”

টোকিওর সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর দ্রুত এবং সুষ্ঠু ভাবে বাস্তবায়নের প্রত্যাশা করেন বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশকে বিনিয়োগের সবচেয়ে ভালো গন্তব্য হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা আশাকরি দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সহযোগিতার মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে।”

রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন যে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে তাঁর (শেখ হাসিনার) গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং তিনি (অ্যাবে) দুই দেশের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে আগ্রহী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফরে গিয়ে হলি আর্টিজান বেকারি হামলায় ভুক্তভোগীদের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ায় তাঁকে ধন্যবাদ জানান জাপানের রাষ্ট্রদূত।

Comments

The Daily Star  | English
Islami Bank's former managing director Abdul Mannan

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago