পাকিস্তান যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া মাহমুদউল্লাহর জন্যও ছিল কঠিন

মাহমুদউল্লাহ পরিবারের সায় পেলেও মুশফিক এই জায়গায় তা পাননি। তবে মুশির এই অবস্থান পুরোপুরি সমর্থন করেন তার ভায়রা ভাই।
Mahmudullah
মাহমুদউল্লাহ। ফাইল ছবি

পরিবারের সায় না থাকায় নিরাপত্তা শঙ্কায় পাকিস্তান যাচ্ছেন না মুশফিকুর রহিম। তার সঙ্গে আত্মীয়তা থাকায় একই পরিবারে সম্পৃক্ত মাহমুদউল্লাহও। তবে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবেই দলকে নিয়ে পাকিস্তান যাচ্ছেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ জানালেন, উদ্বিগ্ন ছিল তার পরিবারও, পাকিস্তানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরুতে তার জন্যও ছিল বেশ কঠিন।

অনেক দেন-দরবার, দ্বিধা-ধন্দের দোলাচল পেরিয়ে মাত্র কদিন আগেই চূড়ান্ত হয় বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর। তিন দফায় হতে যাওয়া সেই সফরের প্রথম ধাপের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আগামীকাল বুধবার (২২ জানুয়ারি) দেশটির উদ্দেশে উড়াল দেবে বাংলাদেশ।

তার আগে মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ছিল বাংলাদেশের শেষ অনুশীলন। প্রস্তুতির মাঝে কথা বলতে এসে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে অনুমিতভাবেই পাকিস্তান সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হলো।

মাহমুদউল্লাহ জানালেন, পাকিস্তান সফর নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবারের সম্মতি পেতে তার বেশ বেগ পেতে হয়েছে, ‘প্রথমে অবশ্যই কঠিন ছিল। কারণ আমার পরিবারেরও উদ্বেগ ছিল। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তো ওরা রাজি হয়েছে। এদিক থেকে আমি কিছুটা নিশ্চিন্ত, যেহেতু আমার পরিবার এতটা পেরেশানি অনুভব করবে না। কারণ পাকিস্তান আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তাই দিচ্ছে।’

মাহমুদউল্লাহর স্ত্রী আর মুশফিকের স্ত্রী আপন দুই বোন। মাহমুদউল্লাহ পরিবারের সায় পেলেও মুশফিক এই জায়গায় তা পাননি। তবে মুশফিকের এই অবস্থান পুরোপুরি সমর্থন করেন তার ভায়রা ভাই,  ‘মুশির সিদ্ধান্ত আমিও সমর্থন করি। পরিবারের একটা ইস্যু থাকে সবসময়। পরিবারের চাইতে বড় ইস্যু কোনো ক্রিকেটারের বা কোনো সাধারণ মানুষের হতে পারে না। মুশফিকের সিদ্ধান্তের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন আছে।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago