ধর্ষণ-গর্ভপাতের শিকার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী, অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক পলাতক
নেত্রকোণায় ধর্ষণ ও গর্ভপাতের শিকার পঞ্চম শ্রেণির এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষক মওলানা আবদুল হালিম সাগর (৪০) আসামি করে গত শনিবার (১৯ জানুয়ারি) মামলা করেছে ওই শিক্ষার্থীর বাবা।
তবে মামলার পর থেকেই পলাতক আছেন আসামি আবদুল হালিম।
মামলার বরাত দিয়ে কেন্দুয়াথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামান জানান, চর আমলিতলা গ্রামের ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতাও আবদুল হালিম। চার মাস আগে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয়।
পুলিশ জানায়, ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না জানাতে শিক্ষার্থীকে হুমকি দেয়া হয়। পরে অন্তঃসত্তা হওয়ার খবরে ওই শিক্ষার্থীকে গত ১৫ জানুয়ারি গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ান মওলানা আবদুল হালিম। ওইদিনই গর্ভপাত হলে, পরিবারের কাছে সব ঘটনা খুলে বলে শিক্ষার্থীটি।
গত শুক্রবার হালিমের কাছে গেলে টাকা নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে বলেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীর বাবা। তবে শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকলে থানায় মামলা করেন তিনি। পুলিশ, সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে পাঠায়।
এরপরই মামলার আসামি আবদুল হালিমকে ধরতে মাদ্রাসায় অভিযান চালানো হলেও তাকে ধরতে পারেনি পুলিশ।
নেত্রকোণা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. একরামুল হাসান জানিয়েছেন, গত রোববার মুমূর্ষ অবস্থায় ওই শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়। জোরপূর্বক গর্ভপাতের কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় মেয়েটির। তার অবস্থা ধীরে ধীরে ভালো হচ্ছে। হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেলের মাধ্যমে তাকে মানসিক সাপোর্টও দেয়া হচ্ছে।
নেত্রকোণার সিভিল সার্জন ডা. মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীর সার্বিক চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
Comments