‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’ গানের স্রষ্টার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী
![ahmed imtiaz bulbul ahmed imtiaz bulbul](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/ahmed-imtiaz-bulbul-1_0.jpg?itok=fAesRG_b×tamp=1579677788)
একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতজ্ঞ আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের আজ (২২ জানুয়ারি) প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। অজস্র জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মরণ করছেন অনেকে।
কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা তার ফেসবুকে লিখেছেন, “আমাদের আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আসলে বাংলার বুলবুল। একাধারে তিনি ছিলেন শক্তিমান লেখক, সুরস্রষ্টা এবং মিউজিক কম্পোজার। গানের জগতে তিনি ছিলেন সব্যসাচী। সারাজীবন তিনি গান নিয়ে গবেষণা করেছেন। আঞ্চলিক সুর থেকে শুরু করে আরব্য-পারস্য, ভারতীয় স্পেনীয় সুর নিয়ে নাড়াচাড়া করে তার সাথে নিজের ভালোবাসা মিশিয়ে সুরের আবহ তৈরি করেছেন। একটি কথা আমি উচ্চকণ্ঠে বলতে চাই ‘সব কটা জানালা খুলে দাওনা’ এই গানটি ছাড়া আর যদি কোনো গানই সুর না করতেন তাহলেও বাংলাদেশ তাঁর কাছে সমান কৃতজ্ঞ থাকতো।”
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে এন্ড্রু কিশোর দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেছিলেন, “আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সুরে সিনেমার অনেক গান গেয়েছি। জনপ্রিয় হয়েছে অনেক গান, কিন্তু অনেক বছর পরে ‘ভুল সবই ভুল’ নামে অডিও অ্যালবাম করেছিলাম তাঁর সুরে। পরে আরও দুটি অডিও অ্যালবাম করেছিলাম। অ্যালবাম দুটির গানগুলো শ্রোতারা গ্রহণ করেছিলেন। তবে সিনেমার গানের মধ্যেই যেন জীবন ছড়িয়ে দিয়েছি। দিন-রাত, ভোর-সন্ধ্যা সবকিছু উৎসর্গ ছিল সিনেমার গানের জন্য। সিনেমার গানে অভিনয় থাকতে হয় এটা শিখেছিলাম অনেকের কাছ থেকে।”
বাংলাদেশের খ্যাতনামা গীতিকার, সুরকার ও সংগীতপরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের জন্ম ১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারি। মাত্র ১৫ বছর বয়সে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সংগীতে অনন্য অবদানের জন্য একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার-সহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।
সত্তরের দশকের শেষদিকে ‘মেঘ বিজলি বাদল’ ছবিতে সংগীত পরিচালনার মধ্য দিয়ে সিনেমায় কাজ শুরু করেন বুলবুল। তিনশোরও বেশি সিনেমায় সংগীত পরিচালনা করে দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। প্রথমটি ‘প্রেমের তাজমহল’ এবং দ্বিতীয়টি ‘হাজার বছর ধরে’ ছবির জন্য।
তার লেখা ও সুর করা উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘ও মাঝি নাও ছাইড়্যা দে, ও মাঝি পাল উড়াইয়্যা দে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য’, ‘সেই রেল লাইনের ধারে’, ‘আমার সারাদেহ খেয়োগো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, এবং ‘আমার গরুর গাড়ীতে বৌ সাজিয়ে’।
Comments