যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেই নাগরিকত্ব, এ সুযোগ রাখতে চায় না ট্রাম্প প্রশাসন

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নির্দেশনায় জন্মগত পর্যটন সংক্রান্ত বিষয়ে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।
USA-1.jpg
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নির্দেশনায় জন্মগত পর্যটন সংক্রান্ত বিষয়ে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।

গতকাল (২১ জানুয়ারি) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জন্মগত পর্যটন বলতে বোঝায়, অন্য দেশের কোনো নাগরিক পর্যটন ভিসায় বিদেশে গিয়ে সেখানে সন্তান জন্ম দিলে ওই সন্তান সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিকত্ব পায়।

যুক্তরাষ্ট্রেও এ নীতি চালু আছে। তবে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কয়েকবার এর বিরোধিতা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ ভিসা যাতে জন্মগত পর্যটনের জন্য ব্যবহার করা না যায়, এ লক্ষ্যে ভিসা নির্দেশনায় সংশোধন আনা হচ্ছে। নতুন নির্দেশনাটি শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।

ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, জন্মগত পর্যটন নিয়ে নতুন নির্দেশনার উদ্দেশ্য হচ্ছে এটির সঙ্গে জড়িত জাতীয় নিরাপত্তার সুরক্ষা ও আইন প্রয়োগে ঝুঁকি মোকাবিলা করা।

তবে ভিসা নির্দেশনায় কী ধরনের পরিবর্তন আনা হবে, কীভাবে এটি প্রয়োগ করা হবে এবং এটি পর্যটকদের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, সেসব ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের সাইপান দ্বীপ অনেকের কাছেই পছন্দের। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে ভিসা বাধ্যতামূলক হলেও চীনসহ কয়েকটি দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই সাইপানে প্রবেশ করতে পারেন। এছাড়া সাইপানের জনসংখ্যাও মাত্র ৫০ হাজার।

সন্তানের জন্মদানে সাইপান পছন্দের হওয়ার কারণেই কিছুদিন আগে সেখানে যাওয়ার আগে এক নারী যাত্রীকে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে বাধ্য করেছিলো হংকংভিত্তিক একটি এয়ারলাইনস। পরে এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ ওই নারীর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলো। তারা জানিয়েছিলো, সাইপান কর্তৃপক্ষের চাপ ছিলো বলেই তারা এটি করেছে। তবে ভবিষ্যতে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না।

এ ঘটনার এক সপ্তাহ পরেই জন্মগত পর্যটন নিয়ে নতুন নির্দেশনার ব্যাপারে ঘোষণা দিলো ট্রাম্প প্রশাসন।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার যে বিধান, ২০১৮ সালে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সেটি বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে সেসময় তার এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলো দেশটির প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

Now