সাত গোল ট্র্যাজেডির পর ব্রাজিলের ড্রেসিং রুমে কী চলছিল, জানালেন সিজার

ঢাকায় পা রেখেও সিজারকে বলতে হয়েছে সেই দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার গল্প। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বর্ণনা করেছেন ম্যাচ পরবর্তী ব্রাজিলের ড্রেসিং রুমের পরিস্থিতি।
julio cesar
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

২০১৪ সালের ৯ জুলাই। বেলো হরিজন্তের মিনেইরো স্টেডিয়াম যেন পরিণত হয়েছিল এক মৃত্যু উপত্যকায়। হবেই না বা কেন! সেদিন ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে হেরেছিল ব্রাজিল।

শুভেচ্ছা দূত হিসেবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে বাংলাদেশে আসা জুলিও সিজার ওই ম্যাচে ব্রাজিলের গোলবার আগলানোর দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তাকে ফাঁকি দিয়ে সাতবার সেলসাওদের জালে প্রবেশ করেছিল বল।

ঢাকায় পা রেখেও সিজারকে বলতে হয়েছে সেই দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার গল্প। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বর্ণনা করেছেন ম্যাচ পরবর্তী ব্রাজিলের ড্রেসিং রুমের পরিস্থিতি, ‘সত্যি বলতে ওই ম্যাচের পর কেউ আসলে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিল না। সেই মুহূর্তটা আসলে খুবই কঠিন ছিল। সমর্থক থেকে শুরু করে আমরা সবাই ম্যাচে এমন কিছু প্রত্যাশা করিনি। আর কোনোকিছু ব্যাখ্যা করার মতো অবস্থায়ও ছিলাম না কেউ।’

ব্রাজিলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক সিজার নিজেও কেঁদেছিলেন ম্যাচ শেষে, ‘ড্রেসিং রুমে ফুটবলাররা মানসিকভাবে শক্ত থাকার চেষ্টা করেছে। অনেকে কেঁদেছেও। তাদের মধ্যে আমিও একজন। বোর্ড সভাপতি এসেছিলেন রুমে। সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।’

আগের দিন ঢাকায় পা রাখা সিজার এদিন ব্যস্ত সময় পার করেছেন। সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

দুপুরে বাংলাদেশের গোলরক্ষকদের সঙ্গে কিছু সময় কাটান সিজার। তাদেরকে দেন টিপস। এরপর নারী ফুটবলারদের বিপক্ষে গোলপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে যান। মাঝে মিলিত হন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গেও।

Comments

The Daily Star  | English

3 quota protest leaders held for their own safety: home minister

Three quota protest organisers have been taken into custody for their own safety, said Home Minister Asaduzzaman Khan

9m ago