জড়সড় ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের মামুলি পুঁজি

ইনিংসের পরের ভাগে প্রয়োজন ছিল ঝড়ো ব্যাটিংয়ের। কিন্তু পরিস্থিতির দাবি পূরণ করতে পারেননি লিটন দাস-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-সৌম্য সরকাররা।
naeem sheikh
ছবি: পিসিবি টুইটার

তামিম ইকবাল-নাঈম শেখের উদ্বোধনী জুটি ১১ ওভার পর্যন্ত টিকে থাকলেও রান তোলায় ছিলেন মন্থর। তাই ইনিংসের পরের ভাগে প্রয়োজন ছিল ঝড়ো ব্যাটিংয়ের। কিন্তু পরিস্থিতির দাবি পূরণ করতে পারেননি লিটন দাস-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-সৌম্য সরকাররা। তাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে মামুলি পুঁজি সংগ্রহ করতে পেরেছে সফরকারীরা।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪১ রান তুলেছে বাংলাদেশ। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথম ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৬২ রান তোলার পর পরের ১০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তারা যোগ করে ৭৯ রান।

গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে এটাই সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। আগের সর্বনিম্ন ছিল শ্রীলঙ্কার। গেল বছর অক্টোবরে ৭ উইকেটে ১৪৭ রান করেছিল তারা। তবে বাংলাদেশের জন্য আশার বিষয় হলো, ওই ম্যাচে ১৩ রানে জিতেছিল লঙ্কানরা।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশকে উড়ন্ত শুরু এনে দিতে পারেননি দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তামিম-নাঈম মিলে স্কোরবোর্ডে তোলেন মাত্র ৩৫ রান। খেলেন ২২টি ডট বল। তাদের মন্থর জুটির ইতি ঘটে ১১তম ওভারের শেষ বলে। ডাবল নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে যান তামিম।

শাদাব খানের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে হাত খোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাঁহাতি তামিম। কিন্তু ওই ওভারেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। ডাইভ দিয়েও লাভ হয়নি। তার বিদায়ে ভাঙে বাংলাদেশের ৭১ রানের উদ্বোধনী জুটি। তামিম ৩৪ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩৯ রান করেন।

তিনে নামা লিটনও কাটা পড়েন রানআউটে। শাদাবের সরাসরি থ্রো স্টাম্প ভেঙে দিলে বিদায় নেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ২ চারে তার সংগ্রহ ১৩ বলে ১২ রান। পরের বলেই আউট হন নাঈমও। শাদাবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং-অনে ক্যাচ দেন ইফতিখার আহমেদের হাতে।

শুরুতে কিছু আগ্রাসী শট খেলা বাঁহাতি নাঈম সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গুটিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত তার ব্যাট থেকে আসে ৪১ বলে ৪৩ রান। তার ইনিংসে ছিল ৩ চার ও ২ ছক্কা। ফলে দলীয় ৯৮ রানে পতন হয় বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেটের।

১৫তম ওভারের শেষ বলে শতরান স্পর্শ করা বাংলাদেশ শেষ ৫ ওভারেও রান তোলার গতি বাড়াতে পারেনি। বরং নিয়মিত বিরতিতে হারিয়েছে উইকেট। পাকিস্তানের বোলাররাও এসময় করেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং।

আফিফ হোসেনকে ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম উইকেটের দেখা পান অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা পাকিস্তানের গতিময় পেসার হারিস রউফ। লেংথ বল আড়াআড়ি ব্যাটে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ১০ বল খেলে আফিফ করেন ৯ রান। কোনো চার-ছয় নেই।

ছয়ে নেমে সৌম্য বোল্ড হন শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে। তার সংগ্রহ ৫ বলে ৭ রান। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ১৪ বলে ১৯ ও মোহাম্মদ মিঠুন ৩ বলে ৫ রানে অপরাজিত থাকেন। স্বাগতিকদের হয়ে একটি করে উইকেট নেন শাদাব, রউফ ও শাহিন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৪১/৫ (তামিম ৩৯, নাঈম ৪৩, লিটন ১২, মাহমুদউল্লাহ ১৯*, আফিফ ৯, সৌম্য ৭, মিঠুন ৫*; ইমাদ ০/১৫, শাহিন ১/২৩, হাসনাইন ০/৩৬, রউফ ১/৩২, মালিক ০/৬, শাদাব ১/২৬)।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago