দূতাবাসের আশ্বাসে চীনে আটকে পড়া শিক্ষার্থীরা স্বস্তিতে

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে উহানে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন তারা।
wuhan-bangladeshi_student-1.jpg
উহানে অবস্থানরত বাংলাদেশি এক শিক্ষার্থীর স্বস্তিদায়ক ফেসবুক স্ট্যাটাস। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে উহানে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন তারা।

গত ২৩ জানুয়ারি থেকে উহানের ‘গ্রাউন্ড জিরোতে’ কার্যত আটকাবস্থায় রয়েছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা খাদ্য সংকটে পরতে যাচ্ছেন, এমন তথ্য জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছিলেন, দূতাবাসের সাহায্য চেয়েছিলেন।

এরপর গতকাল বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বলা হয়, নতুন ধরনের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে দূতাবাসের কর্মকর্তারা সেখানে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।

চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান জানান, দূতাবাস থেকে এরই মধ্যে হুবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে তারা কথা বলেছেন।

২৪ ঘণ্টা এ ব্যাপারে সাহায্যের জন্য দূতাবাসে হটলাইন নম্বর (+৮৬১৭৮০১১১৬০০৫) চালু রাখার কথাও জানান তিনি।

উহানের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশি এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে।

হুবেই তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদ সৌরভ বলেন, “বাংলাদেশের সব শিক্ষার্থীই নিরাপদে রয়েছেন, তবে তাদের অনেকেই আতঙ্কিত। অনেকেই চাইছেন দেশে ফিরে যেতে, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা সম্ভব নয়। তাই আমরা এখন বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে চলছি। তারা আমাদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এবং যেকোনো প্রয়োজনে হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেছেন।”

আরও পড়ুন:

বেইজিং থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে দূতাবাস

চীনে আটকে পড়া ৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর দেশে ফেরার আকুতি

Comments

The Daily Star  | English

Culprits of Khagrachhari, Rangamati violence will be brought to book: CA office

High-powered probe body to be formed; home adviser to visit Khagrachharai and Rangamati tomorrow

2h ago