উপসর্গ প্রকাশের আগেই ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস
সুপ্ত অবস্থাতেই একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। ফলে বাহকের শরীরে রোগের কোনো ধরনের উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগেই সংস্পর্শে আসা অন্য জনের শরীরে গিয়ে বাসা বাধছে ভাইরাসটি।
আজ (২৬ জানুয়ারি ) চীনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা জিয়াওয়ে সাংবাদিকদের জানান, ভাইরাসটি মারাত্মক পর্যায়ে আছে। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা আরও প্রবল হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
চীনা কর্মকর্তাদের ধারণা, সংক্রমণের পর ভাইরাসটি দেহে এক থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় (ইনকিউবেশন পিরিয়ড) থাকতে পারে। এই সময়ের মধ্যেই এটি অন্য জনের শরীরে ছড়াতে পারে।
২০০২-০৩ সালে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়ায় সার্স ভাইরাস। সেটিরও উৎপত্তিস্থল ছিলো চীন। তবে, সার্স কিংবা ইবোলার ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে লক্ষণ প্রকাশের পরই তা অন্য জনের মধ্যে সংক্রমিত হতো। এই দুই ভাইরাস প্রতিরোধ করা তাই তুলনামূলকভাবে সহজ ছিল। সেক্ষেত্রে সংক্রমিত ব্যক্তিকে সবার কাছ থেকে আলাদা করে রাখা হতো। তার সংস্পর্শে কাউকে আসতে দেয়া হতো না।
সোয়াইন ফ্লুয়ের মতো বিশ্বব্যাপী মহামারীর পর্যায়ে না গেলেও ‘লক্ষণের আগেই ছড়িয়ে পড়া’ করোনাভাইরাসকে দমন করা চীনের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫৬ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দুই হাজার মানুষ। চীনের বেশ কিছু শহরে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল উহান শহরের গণপরিবহন ব্যবস্থা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, রোববার থেকে দেশটিতে বন্যপ্রাণী বেচাকেনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভাইরাসটি কোনো প্রাণী থেকে মানুষের দেহে ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, সুনির্দিষ্টভাবে এখনো কোনো কারণ চিহ্নিত করা যায়নি।
আরও পড়ুন:
Comments