তামিমের ব্যাটিং সিরিজের একমাত্র প্রাপ্তি: মাহমুদউল্লাহ

পাকিস্তানে গিয়ে বাজেভাবে সিরিজ হারার পর বাংলাদেশের প্রাপ্তির খাতা বলতে গেলে প্রায় শূন্য। বরং বেরিয়েছে অনেক ঘাটতি। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও মনে করছেন, প্রাপ্তি আসলে কম। তবে সিটির থেকে ইতিবাচক কিছু বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র তামিম ইকবালের ব্যাটিংকে প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন তিনি!
পাকিস্তান সফরে দুই ম্যাচেই রান পেয়েছেন তামিম। প্রথম ম্যাচে করেন ৩৪ বলে ৩৯ রান। পরের ম্যাচে ৫৩ বলে খেলেন ৬৫ রানের ইনিংস। কোনো ম্যাচেই দলের কাজে আসেনি তা। ম্যাচের পরিস্থিতি বিচারে তার ব্যাটিং নিয়েও চলছে বিস্তর সমালোচনা।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নাঈম শেখের সঙ্গে ৭১ রানের ওপেনিং জুটি পান তামিম। তবে এই রান আনতে তারা খেলেন ৬৬ বল। পাওয়ার প্লের প্রথম ছয় ওভারে আনতে পারেন মাত্র ৩৫ রান। দুজনেই প্রচুর (২২টি) ডট বল খেলায় বাংলাদেশ পায়নি বড় সংগ্রহ।
দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম পেয়েছেন ফিফটি। বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার ভিড়ে টিকে বড় রান করেছেন তিনিই। তবে সেদিনও তামিম দীর্ঘ সময় ক্রিজে থাকার পরও রানের গতি ঠিক জুতসই হয়নি। প্রথম ম্যাচের চেয়ে অনেকটা ভালো উইকেটে বাংলাদেশ করতে পারে প্রথম ম্যাচের চেয়েও ৫ রান কম। ওই রান তাড়া করতে গিয়ে ২০ বল আগেই দাপটের সঙ্গে ৯ উইকেটে জেতে পাকিস্তান।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বৃষ্টিতে শেষ ম্যাচ ভেসে যাওয়ার পর চাওয়া-পাওয়ার হিসাব-নিকাশ নিয়ে প্রশ্ন যায় বাংলাদেশ অধিনায়কের কাছে। উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের মন্থর উইকেটের আচরণ পড়তে পেরেছিলেন কেবল তামিম, খেলেছেন সে অনুযায়ী, চরম হতাশার সিরিজে বাংলাদেশের জন্য এটাই প্রাপ্তি, ‘প্রাপ্তি মনে হয় একটু কম। প্রাপ্তি যদি বলতে হয়, আমি তামিমের ব্যাটিংটাই বলব, কারণ উইকেটের আচরণ বুঝেই ও খেলেছে। আর তার অভিজ্ঞতা নিয়ে সামনে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু পুরো ব্যাটিং ইউনিট মিলে আমরা মনে হয় এতটা ভালো করিনি। যদিও উইকেট ব্যাটিং সহায়ক ছিল না।’
‘তারপরও আমাদের ওই সামর্থ্য আছে, আরেকটু ভালো রান করতে পারতাম। প্রথম ম্যাচে বোলাররা ভালো বল করেছে। সবমিলিয়ে আমাদের ব্যাটিং আরও ভালো হতে হবে টি-টোয়েন্টিতে।’
Comments