নোয়াখালীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১২ মামলার আসামি নিহত
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১২ মামলার আসামি, আন্তজেলা ডাকাতদলের সর্দার আনোয়ার হোসেন ইউছুফ (৪৪) নিহত হয়েছেন।
আজ (২৮ জানুয়ারি) ভোররাত পৌনে ৩টার দিকে ইউনিয়নের বীরকোট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইউছুফ বেগমগঞ্জ উপজেলার পূর্ব লাউতলী গ্রামের আবু তাহের ওরফে ওলি উল্যার ছেলে।
পুলিশের দাবি, এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। এছাড়া, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, চার রাউন্ড কার্তুজ, সাত রাউন্ড গুলির খোসা, তিনটি রামদা, একটি টর্চ লাইট ও একটি গ্যাস লাইট উদ্ধার করা হয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লোকেশ মহাজন ও কনস্টেবল আব্দুর রহমান।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার জমিদারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউছুফকে আটক করা হয়। থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রাতে ডাকাতি করার কথা স্বীকার করেন তিনি। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোররাত পৌনে ৩টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দলের সহযোগিতায় বীরকোট এলাকায় অভিযান চালায় সেনবাগ থানা পুলিশ।
সেসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইউছুফের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে, আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। সেসময় পালানোর চেষ্টা করলে অজ্ঞাত সহযোগীর গুলিতেই ইউছুফ আহত হন। পরে তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এরপর ইউছুফকে দ্রুত উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, নিহত ইউছুফ আন্তজেলা ডাকাত দলের একজন সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় ডাকাতির ঘটনায় সাতটি, ডাকাতি প্রস্তুতির ঘটনায় তিনটি, সিঁধেল চুরির ঘটনায় একটি ও অস্ত্র আইনে একটিসহ মোট ১২টি মামলা রয়েছে।
Comments