বিশ্বের শীর্ষ ১০ অস্ত্র উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের ৩টিই চীনের!
অস্ত্র তৈরিতে রাশিয়াকে হটিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে চীন। আর আগের মতই শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের অস্ত্র শিল্প নিয়ে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার সুইডেন থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, চীনের অস্ত্র উৎপাদন প্রক্রিয়া একটা রহস্যের বেড়াজালে আটকে ছিল। কিন্তু তথ্য বলছে, অস্ত্র তৈরিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তিনটিই চীনের। অস্ত্র রপ্তানির দিক থেকে পঞ্চম স্থানে রয়েছে দেশটি।
এই প্রতিবেদনের অন্যতম সম্পাদক নান তিয়ান এএফপিকে বলেন, “দৃঢ়তার সঙ্গে বলা যায় চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র উৎপাদনকারী দেশ। যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে রয়েছে। রাশিয়ার অবস্থান চীনের পরে।”
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের অস্ত্র শিল্প নিয়ে গবেষণা করতে গেলে একটি বিষয় গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। তা হলো অস্ত্র উৎপাদনের ব্যাপারে স্বচ্ছতার যথেষ্ট অভাব আছে দেশটিতে।
প্রতি বছর আনুমানিক প্রায় ৭০ থেকে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের অস্ত্র উৎপাদন করে দেশটি। যার সিংহভাগই চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) বিভিন্ন সংস্থার কাছে বিক্রি হয়।
১০ বছর আগেও রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র আমদানি করত চীন। অস্ত্র উৎপাদনে দেশটিতে এখন নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে।
তিয়ান বলেন, “অস্ত্রের জন্য অন্য দেশের ওপর নির্ভর করার প্রয়োজন নেই চীনের।”
চীনা অস্ত্র কোম্পানিগুলো তাদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীদের তুলনায় এখন অনেক বেশি দক্ষ।
এসআইপিআরআই গবেষকদের চীনা অস্ত্র শিল্পের ব্যাপ্তি সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্যের জন্য বেগ পেতে হয়েছে। কোম্পানিগুলি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন থাকার কারণে এ সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাদের।
যেমন, এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন অব চায়না (এভিআইসি) সাধারণত উড়োজাহাজ এবং উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশ উৎপাদন করে। কিন্তু, এটিই দেশটির বৃহত্তম অস্ত্র কোম্পানি।
তিয়ান জানান, “জাতীয় নিরাপত্তার খাতিরে সব তথ্য মোটামুটি গোপন থাকে।”
Comments