মালদ্বীপ বা মাল্টার আয়তনের চেয়ে বড় বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র!
ব্রিটেনের পূর্ব উপকূলে দৃশ্যমান হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অফশোর বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ‘হর্নসি ওয়ান’। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এটি একটি যুগান্তকারী প্রকল্প।
ইয়র্কশায়ার উপকূল থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরের এই বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রায় ১০ লাখ বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। এ বছরের মধ্যেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
মালদ্বীপ কিংবা মাল্টার আয়তনের চাইতেও বেশি জায়গা জুড়ে এই বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মিত হচ্ছে। অন্যান্য বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তুলনায় এটি সমুদ্র তীর থেকে অনেক বেশি দূরে, সমুদ্রের প্রায় মাঝামাঝিতে নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পে প্রায় ১০০ মিটার লম্বা টাওয়ার এবং সাত মেগাওয়াটের ১৭৪টি টার্বাইন তৈরি করা হচ্ছে।
প্রকল্পটি পরিচালনা করছে ড্যানিশ এনার্জি কোম্পানি অরস্টেড (ডিওজিইএফ)। প্রকল্পটির জ্যৈষ্ঠ ব্যবস্থাপক স্টেফান হুনিংন্স জানান, একটি টার্বাইন একবার ঘুরে আসলে যে পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হবে তা দিয়ে একটি বাড়িতে একদিনের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা যাবে।
হর্নসি প্রকল্পে তিনটি পর্যায়ে কাজ হবে। আইরিশ সাগরে অবস্থিত বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ‘ওয়ানলি এক্সটেনশন’ এর তুলনায় দ্বিগুণ শক্তি উৎপন্ন করবে এক দশমিক দুই গিগাওয়াট ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই ‘হর্নসি ওয়ান’ বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
অরস্টেড জানায়, নির্মাণাধীন ‘হর্নসি টু’ ভবিষ্যতে ১৬ লাখ বাড়িতে এবং ‘হর্নসি থ্রি’ ২০ লাখেরও বেশি বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে।
ডিওজিইএফ ইউরোপ, এশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় ২৫টি বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। যুক্তরাজ্যের অঞ্চলগুলোই অফশোর বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বৃহত্তম বাজার। অরস্টেড জানায়, এ বছর তারা যুক্তরাজ্যের অঞ্চলগুলোতে বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ৩৭টি অফশোর বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে।
২০৩০ সালের মধ্যে ব্যবহৃত বিদ্যুতের এক তৃতীয়াংশ বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে সরবরাহের পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাজ্য। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এমন বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
Comments