পুরনো চোট ফিরেছে সাদমানের, অনিশ্চিত পাকিস্তান সফর
অভিষেকের পর থেকে টেস্টের ওপেনিংয়ে জায়গা অনেকটা থিতু করে ফেলা সাদমান ইসলামের কব্জির পুরনো চোট ফিরে এসেছে। চিকিৎসকের পরামর্শে এক সপ্তাহ সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকা এই ওপেনার বাংলাদেশের দ্বিতীয় দফার পাকিস্তান সফরে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেন।
বিসিবি একাদশের হয়ে গেল বছর ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে চার দিনের ম্যাচ খেলতে গিয়ে কব্জির চোটে পড়েছিলেন বাঁহাতি সাদমান। বাম হাতের কব্জির টেনডনে লেগেছিল টান। চোট কাটিয়ে ফিরে ভারতেই জাতীয় দলের হয়ে দুই টেস্ট খেলেছিলেন তিনি।
ভারত সফর থেকে ফিরে শুরুতে বিপিএলে জায়গা না পেলেও পরে রংপুর রেঞ্জার্সে ডাক পেয়ে দুই ম্যাচ খেলেন সাদমান। খুব একটা ভালো করতে না পারায় এরপর আর সুযোগ মেলেনি। যদিও দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে শুরুর দিকেই থাকে তার নাম। তবে আগামী ৩১ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া প্রথম শ্রেণির ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্রথম রাউন্ডে নেই তিনি, পাকিস্তান সফরেও অনিশ্চিত। পুরনো চোট ফিরে আসায় ব্যাট ধরতেই প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করছেন তিনি।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) জানিয়েছেন, চোট সারাতে সাদমানকে দেওয়া হয়েছে ইনজেকশন। এর প্রভাবে অন্তত এক সপ্তাহ সমস্ত স্পোর্টিং কার্যক্রমের বাইরে থাকতে হবে তাকে। এই কারণে বিসিএলেও তাকে দলে না রাখার অনুরোধ করা হয়।
তিন দফার পাকিস্তান সফরের প্রথম দফায় টি-টোয়েন্টি খেলে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে ৪ ফেব্রুয়ারি আবার পাকিস্তান যাবেন মাহমুদউল্লাহরা।
দেবাশীষ জানিয়েছেন, সেখানে সাদমান থাকতে পারবেন কি-না তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও, ‘দুই-তিন দিন পরে আমরা আবার তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করব। এরপরই বুঝতে পারব পাকিস্তান সফরের জন্য তিনি বিবেচিত হবেন কি-না। এটা তার পুরনো ইনজুরি। ব্যাট ধরলেই তার হাতে ব্যথা বাড়ছে। এমন ইনজুরি নিয়ে টি-টোয়েন্টি বা ওয়ানডে খেলা যায়, কিন্তু লম্বা সময়ের ক্রিকেট খেলা কঠিন।’
ভারত সফরে তামিম ইকবাল না যাওয়ায় ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করেছিলেন সাদমান। এর আগেও টেস্টের ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গী হিসেবে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ টেস্ট খেলেছেন সাদমান। মাত্র ২৫ গড়ে ২৭৫ রান করলেও তার খেলার মেজাজে-ধরনে দৃঢ়তা ও ধৈর্যের ছায়া দেখতে পান দেশের নির্বাচকরা।
Comments