করোনায় মহামারি, চীনে মৃতের সংখ্যা সরকারি হিসাবে ১৩২
চীনে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। চীনের সরকারি হিসাব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩২ জনে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ছয় হাজারে।
আজ (২৯ জানুয়ারি) চীন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
দেশটির কর্তৃপক্ষ নতুন করে আরও ২৬ জনের মৃত্যু এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৭৪ জন নিশ্চিত করেছে।
নিহত ২৬ জনের মধ্যে ২৫ জনই হুবেই প্রদেশের এবং একজন দেশটির উত্তরের একটি প্রদেশের।
চীনের নববর্ষ বা বসন্ত উৎসব চলাকালে উহানসহ প্রায় ২০টি শহরের ৫ কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে সেসব শহরে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ভাইরাসটি এখন আর শুধু চীনেই সীমাবদ্ধ নেই। ইতোমধ্যে ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, হংকং, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, জাপান, জার্মানি, মালয়েশিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ায়।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্পর্শের মাধ্যমেও এ ভাইরাসের সংক্রমিত হতে পারে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে চীনে বসন্ত উৎসবে সরকারি ছুটি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। আগে ২৪ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি থাকলেও এখন তা বাড়িয়ে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল উহানের অধিবাসীদের শহর না ছাড়তে বলা হয়েছে। এছাড়াও, চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের ১৫ শহরে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
সতর্ক অবস্থানে বাংলাদেশ
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। দেশের বিমানবন্দরে চীন থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।
চীনের অন্যান্য স্থানের পাশাপাশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণস্থল উহানে বেশকিছু বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন। ইতোমধ্যে চীন থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এছাড়াও, চীনের উহান থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্যান্য দেশও।
Comments