১০ম শ্রেণির ছাত্র শুভর রোবট দুই ভাষায় কথা বলতে পারে
রোবট বয় শুভ কর্মকার, তার নিজের হাতে গড়া রোবটের নাম রেখেছে রবিন। এই রবিন হাসতে, কথা বলতে পারে। পারে হাঁটতে। রবিন ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাতেও কথা বলতে পারে।
শুভর বাবা সন্তোষ কর্মকার পেশায় ব্যবসায়ী। মা দীপ্তি কর্মকার গৃহিণী। বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গেলা গ্রামে বসেই ১০ম শ্রেণির ছাত্র শুভ তৈরি করে ফেলেছে দুই ভাষায় কথা বলা রোবট।
রোবট সোফিয়া থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে দেড় বছরের চেষ্টায় সে তৈরি করেছে রোবট রবিন। এর জন্য সে পড়াশোনা করেছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে।
রোবট নিয়ে শুভ বলে, “আমি ছোট থেকেই বিজ্ঞান-প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী। এই আগ্রহ থেকেই নতুন কিছু করার কথা ভাবতাম। আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি তখন থেকে বিজ্ঞান প্রজেক্ট নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম। ২০১৮ সালে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়ে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে রৌপ্য পদক পেয়েছি। এছাড়াও, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সৃজনশীল মেধা অন্বেষণে বছরের সেরা মেধাবী পুরস্কার পেয়েছি।”
এসব স্বীকৃতি শুভর আগ্রহ বাড়িয়ে দেয় বিজ্ঞানচর্চার প্রতি। এরপর রোবট তৈরিতে আগ্রহী হওয়ার কথা জানিয়ে শুভ বলে, “রোবট সোফিয়াকে যখন আমাদের দেশে আনা হয় তখন তাকে দেখে অল্প খরচে রোবট বানানোর কথা চিন্তা। সোফিয়া বাংলাতে কথা বলতে পারে না। আমরা বাঙালি, তাই বাংলায় কথা বলা রোবট তৈরির কথা ভাবি।”
“রোবোটিকস নিয়ে কোনো অভিজ্ঞতা আমার ছিলো না। প্রোগ্রামিং ও রোবোটিকস অনেক ওপরের স্তরের পড়াশুনা। রবিন তৈরি করতে প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়েছে। এতো কম বয়সে রোবোটিকস ও প্রোগ্রামিং বিষয়টি ইন্টারনেট ছাড়া কিছু শিখতে পারতাম না।”
শুভ আরও বলে, “২০১৮ সালের ২০ মে আমি রোবট তৈরির কাজ শুরু করি, এরপর গত বছরের ২২ জানুয়ারি রোবটের প্রাথমিক কাজ শেষ করে সবার সামনে নিয়ে আসি। রোবটটি তৈরিতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে রবিনকে আরও উন্নত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”
Comments