বিসিএলকেই পাকিস্তান সিরিজের প্রস্তুতি মানছেন সৌম্য
পাকিস্তানে টেস্ট ম্যাচের আগে কোন প্রস্তুতি ম্যাচ নেই। অনুশীলনই ভরসা। ম্যাচ অনুশীলনের ঘাটতি পোষাতে তাই তড়িঘড়ি করে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে মাঠে নামার আগে বিসিএলে একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
অনেক দিন থেকেই লম্বা সংস্করণের ক্রিকেট থেকে বাইরে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের পর পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি সিরিজই খেলে তারা। তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে মাঠে নামার আগে লাল বলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বিসিএলও সেরা সুযোগ। সৌম্যও বললেন তাই-ই।
'অনুশীলন করে গেলে তো অবশ্যই ভালো হয়। যেহেতু জাতীয় দলের সবাই পাকিস্তানে যাবে, তার আগে যেন সবাই একটি ম্যাচ খেলে। অনুশীলন কম হচ্ছে, এরপরেও ম্যাচ অনুশীলনে অন্যরকম একটা ব্যাপার থাকে। সবাই যদি দুটি দিন অনুশীলনের চেয়ে মানসিকভাবে একটু বেশি চিন্তা করে লাল বল নিয়ে। তাহলে মনে হয় কাজ হবে।'
ম্যাচ অনুশীলনকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন সৌম্য। কারণ টি-টোয়েন্টি সংস্করণের মাঝ থেকে হুট করে লম্বা সংস্করণে খেলা। তবে স্বাভাবিক অনুশীলনকেও বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন এ তারকা, 'ম্যাচ অনুশীলনের মধ্যে থাকলে তো ভালো হয়। এতদিন সবাই টি-টোয়েন্টি লেভেলে ছিল। সেখান থেকে যখন লাল বলের ম্যাচ খেলবে তখন একটা ফিল আসবে। অনুশীলনের সুযোগটা বেশি থাকলে ভালো হতো, যেহেতু নেই তাই এটা নিয়ে বেশি চিন্তা করে লাভ নেই। ইতিবাচকভাবে চিন্তা করে কিভাবে যাওয়া যায় সেটাই জরুরী।'
বিপিএলে এবার বেশ দারুণ ছন্দে ছিলেন সৌম্য। যদিও জাতীয় দলের হয়ে পাকিস্তানে গিয়ে তেমন কিছুই করতে পারেননি সৌম্য। সংস্করণটা ভিন্ন হলেও ভালো খেলার আত্মবিশ্বাসটা কাজে দেবে তার। টেস্ট দলে সুযোগ পেলে তাই সেরাটা দেওয়ার প্রত্যয় ঝরে তার কণ্ঠে, 'ম্যাচে পারফর্ম করলে তো সেটা সবসময় কাজে দেয়। সেই চিন্তা করে খেললে হয়তো নিজের ভেতরে বেশি চাপ থাকবে। নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবো এবং ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো।'
বিসিএলে এবার ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের হয়ে খেলবেন সৌম্য সরকার। সৌম্য ছাড়াও এই দলে রয়েছেন জাতীয় দলের সতীর্থ মোহাম্মদ মিঠুন, মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদি হাসান মিরাজের মতো খেলোয়াড়রা। এরা প্রত্যেকেই টেস্ট দলের বিবেচনায় আছেন। তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বিসিএল তাদের সবার জন্যই বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
Comments