টস থেকে ব্যাটিং অর্ডার, কোন সিদ্ধান্তই বোধগম্য লাগেনি বোর্ড প্রধানের
পাকিস্তানে গিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাজেভাবে হেরে আসার পর চটেছেন বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। দুই টি-টোয়েন্টিতে দলের টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া, ব্যাটিং অর্ডারে উলটপালট আর খেলার ধরন নিয়ে সমালোচনা করেছেন তিনি। বিসিবি প্রধান বলছেন বাংলাদেশ দলকে তার অচেনা লেগেছে।
নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার বিশেষ পরিস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে পাকিস্তানে খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। খেলা শুরুর পর নিরাপত্তার আলাপ ছাপিয়ে যায় বাংলাদেশ দলের বাজে পারফরম্যান্সে।
প্রথম টি-টোয়েন্টি ১৪১ রান করে ৫ উইকেটে হারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। পরের ম্যাচেও আগে ব্যাটিং নিয়ে হয় আরও বেহাল দশা। মাত্র ১৩৬ রান করে পাকিস্তানের কাছে উড়ে যায় ৯ উইকেটে। তৃতীয় ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে।
দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল মন্থর গতির। বুধবার নিজের বেক্সিমকো কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে দলের এমন দশায় হতাশা, বিস্ময় ঝরেছে বোর্ড প্রধানের কণ্ঠে, ‘অনেকদিন পর বাংলাদেশের খেলা দেখে মনে হয়েছে এটা বাংলাদেশের খেলা না। আমার মনে হয়নি বাংলাদেশ খেলছিল। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে সাধারনত আমরা যেভাবে খেলি এটা সম্পূর্ণ উলটা। এরকম পরিস্থিতি দেখিনি যে বিনা উইকেটে ৯৬ থেকেও (আসলে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিনা উইকেটে ৭১)আমরা রান করতে পারছি না। তারপরেও ১২-১৪ ওভার পরও আমরা এত রক্ষণাত্মক অ্যাপ্রোচে খেলছি। এটা সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা।’
সিরিজ হারের পর বোর্ড প্রধান দুই সিনিয়র ক্রিকেটার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তামিম ইকবালকে ডেকেও কারণ জানতে চান। নাজমুল তাদের জিজ্ঞেস করেন অচেনা কন্ডিশনে কেন বাংলাদেশ টস জিতে ব্যাটিং নিল, ‘প্রথম ম্যাচের পরেই আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম ব্যাটিং নিলাম কেন। আমরা এত বছর পর পাকিস্তানে এলাম। একটা অপরিচিত কন্ডিশনে ব্যাটিং নিলাম কেন। আমরা তাড়া করতে ভালোই জানি। একটা লক্ষ্য থাকে (রান তাড়ায়)। এখানে তো লক্ষ্য জানি না। ওরা বলছিল ব্যাটিং পিচ সেজন্য। কিন্তু দেখে মনে হয়নি ভাল পিচ। খুব ভাল পিচই যদি হত সেটার সঙ্গে খেলার ধরন মিলেনি।’
বোর্ড প্রধানের কাছে সবচেয়ে অবাক লেগেছে দলের ব্যাটিং অর্ডার। তালগোল পাকানো ব্যাটিং অর্ডারের পেছনে কোন যুক্তি খুঁজে পাননি তিনি, ‘সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো। তামিম যখন ছিল না, ভারতে আমরা ওপেন করিয়েছি লিটন দাস আর নাঈমকে। কাজেই আমাদের দুজন ওপেনার এখানে আছে। আবার সৌম্য আছে যে নাকি ওপেন করত। মানে প্রথম তিনজনের মধ্যে সেও। দ্বিতীয় ম্যাচে যখন নাঈম আউট হয়ে গেল তখন লিটনকে না নামিয়ে, সৌম্যকে না নামিয়ে হঠাৎ করে দেখি মেহেদী, যার সাতে খেলার কথা আমার হিসাবে, ছয়ে খেলার কথা আফিফের। ওরা কেন তিন, চারে। এটা প্রশ্নটা করেছিলাম। পরীক্ষা নিরীক্ষা কিনা আমি জানি না। আমার মনে হয়নি এটা যৌক্তিক।’
খেলোয়াড়দের সঙ্গে বসে সুরাহা পাননি, এবার প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে বসে এসব সিদ্ধান্তের কারণ জানতে চাইবেন নাজমুল, ‘কোচের সঙ্গে বসতে হবে। আমি তো বসেছি খেলোয়াড়দের সঙ্গে। কাজেই খেলোয়াড়দের কেউ বলেনি কোচ আমাদের সিদ্ধান্ত দিয়েছে, বা কোচ বলেছে এটা। এখন কোচকে জিজ্ঞেস করতে হবে কে সিদ্ধান্তগুলো দিচ্ছিল।’
Comments