শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৫ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে: মাহবুব তালুকদার

“ইভিএম ব্যবহার করে এই নির্বাচনে সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে এতে কোন কেন্দ্রে শতকরা ১০০ ভাগ ভোট পড়েনি এবং নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালটবাক্স ভর্তি করার সুযোগ ছিল না। রাতে ব্যালট পেপারে বাক্স ভর্তি ও কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়ার অপবাদ থেকে আমরা মুক্ত। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৫ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে।”
mahbub talukder
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। ফাইল ছবি

“ইভিএম ব্যবহার করে এই নির্বাচনে সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে এতে কোন কেন্দ্রে শতকরা ১০০ ভাগ ভোট পড়েনি এবং নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালটবাক্স ভর্তি করার সুযোগ ছিল না। রাতে ব্যালট পেপারে বাক্স ভর্তি ও কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়ার অপবাদ থেকে আমরা মুক্ত। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৫ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে।”

দুই সিটি নির্বাচন নিয়ে আজ শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

নির্বাচনের পরিবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, “নির্বাচন খুবই শান্তিপূর্ণ হয়েছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া কোনো মারামারি বা রক্তক্ষয় হয়নি। ভোটের মাঠে এক পক্ষ ব্যতীত অন্য পক্ষগুলোকে দেখা যায়নি। ভোটের মাঠে অন্যপক্ষগুলির অনুপস্থিতির কারণ আমার অজ্ঞাত।”

কম ভোট পড়ার একটি চিত্র তুলে ধরে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত মোট ১২টি কেন্দ্র পরিদর্শন করি। এই ১২টি কেন্দ্রে আমি সরকারি দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ছাড়া আর কোন মেয়র প্রার্থীর এজেন্ট দেখতে পাইনি। সকাল আটটা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রগুলিতে প্রায় ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে।”

মাহবুব তালুকদার বলেন, “মগবাজারে ইস্পাহানী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১১টায় ভোট দিয়েছি। কেন্দ্রের সাংবাদিকরা আমাকে জানান, সকালে বিরোধী দলের মেয়রের এজেন্ট ছিলেন। তাদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের এই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের সুযোগ ছিল না। এছাড়া আনারস প্রতীকের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী আমাকে জানিয়েছেন, তার নির্বাচনি এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আমি তাকে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলেছি।”

“নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের যে দৃশ্য দেখা গেছে, তাতে আমি মর্মাহত। আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে আচরণবিধি থাকা না থাকায় কোনো পার্থক্য থাকে না,” যোগ করেন মাহবুব তালুকদার।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

8h ago